লক্ষ্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নাগরিকদের স্বচ্ছ ও উন্নত পরিষেবা দেওয়া। বিভিন্ন সরকারি দফতর থেকে জনসাধারণ যাতে যথাযথ ভাবে প্রয়োজনীয় পরিষেবা পেতে পারেন, সেই উদ্দেশ্যেই তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ জনপরিষেবা আইন ২০১৩। ওই আইন কী এবং কেন, সঠিকভাবে একজন মানুষকে পরিষেবা দিতে সরকারি কর্মী, আধিকারিকদের দায়িত্বই বা কী হওয়া উচিত সে বিষয়ে বিভিন্ন দফতরের অধিকারিক ও কর্মীদের বিশদে জানাতে জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে প্রশিক্ষণ। শনিবার জেলার সরকারি কর্মী ও আধিকারিকদের নিয়ে তেমনই প্রশিক্ষণ শিবির হয়ে গেল সিউড়ির ডিআরডিসি হলে।
খাদ্য ও সরবরাহ, অনুন্নত শ্রেণি দফতর, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন, ভূমি ও ভূমি সংস্কার, সংখ্যালঘু উন্নয়ন, শিক্ষা,স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, পুর ও নগরোন্নয়নের মতো ১৭টি দফতরের শ’চারেক অধিকারিক এবং কর্মী প্রশিক্ষণে যোগ দিয়েছিলেন। প্রশিক্ষণের দায়িত্বে ছিল রাজ্য সরকারের প্রশিক্ষণ সংস্থা এটিআইএম। প্রশিক্ষণ শিবিরে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) শ্যামল মণ্ডল। তিনি বলেন, “প্রাথমিক পর্বে ১৭টি দফতরের গ্রুপ ‘এ’ থেকে গ্রুপ ‘ডি’ মিলিয়ে ৪০০ জন কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হল। সরকারি পরিষেবা পেতে গিয়ে যাতে মানুষ অযথা হয়রানির শিকার না হন, তাঁদের সময় মতো পরিষবা দিতে গিয়ে প্রত্যেক সরকারি কর্মীর ভূমিকা ঠিক কী হবে সেই বিষয়েই প্রশিক্ষণ। সাধারণ মানুষকে সময়ে পরিষেবা দিতে পারলে পুরস্কার, না দিতে পারলে তিরষ্কার রয়েছে।” এটিআইএমের যুগ্ম অধিকর্তা হিমাংশুজ্যোতি চৌধুরী বলেন, “পরিষেবা দেওয়া নিয়ে অজুহাত বা অপত্তির জায়গা নেই। এটা ব্যক্তি বিশেষ নয়, পদকে বোঝানো হচ্ছে। চেয়ারে যিনিই থাকবেন, তাঁকেই পরিষেবা দিতে হবে এবং সময়ের মধ্যে।” তিনি জানান, দার্জিলিং, কোচবিহার, পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ বেশ কয়েকটি জেলায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। মার্চের মধ্যেই সারা রাজ্যে উল্লেখিত দফতরগুলির কর্মীদের প্রশিক্ষণের কাজ শেষ হলে এপ্রিল থেকে মানুষ দফতরগুলি থেকে উন্নত, স্বচ্ছ পরিষেবা পাবেন বলে আশা।