Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

কিনারা হয়নি চুরির, ক্ষোভ হাসপাতালে

উদ্বোধনের আগেই সিটি স্ক্যান প্রকল্পের কম্পিউটার চুরি ঘিরে তদন্তের দাবিতে রামপুরহাট হাসপাতাল চত্ত্বরে পোস্টারিং করল কংগ্রেস প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি। বুধবার সকালে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দেওয়ালে সাদা কাগজের উপর নীল কালিতে লেখা ওই পোস্টারগুলি সাঁটানো হয়েছে। জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ মণি বলেন, “চোরেদের গ্রেফতার এবং চুরি যাওয়া সামগ্রী অবিলম্বে উদ্ধারের দাবি জানাচ্ছি আমরা।”

পড়েছে নোটিস।—নিজস্ব চিত্র

পড়েছে নোটিস।—নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
রামপুরহাট শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ০১:২১
Share: Save:

উদ্বোধনের আগেই সিটি স্ক্যান প্রকল্পের কম্পিউটার চুরি ঘিরে তদন্তের দাবিতে রামপুরহাট হাসপাতাল চত্ত্বরে পোস্টারিং করল কংগ্রেস প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি। বুধবার সকালে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দেওয়ালে সাদা কাগজের উপর নীল কালিতে লেখা ওই পোস্টারগুলি সাঁটানো হয়েছে। জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ মণি বলেন, “চোরেদের গ্রেফতার এবং চুরি যাওয়া সামগ্রী অবিলম্বে উদ্ধারের দাবি জানাচ্ছি আমরা।”

শ্রমিক সংগঠনের দাবি, কয়েক বছর আগে হাসপাতাল থেকে লোহার সিন্ধুক চুরি গিয়েছিল। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স এবং হাসপাতাল কর্মীদের বেতনের টাকা খোওয়া গিয়েছিল কিন্তু সেই টাকা উদ্ধার হয়নি। এখনও পর্যন্ত চুরির কোনও কিনারা করতে পারেনি পুলিশ।

মঙ্গলবার দুপুরে রামপুরহাট হাসপাতালের বর্হিবিভাগের নীচের তলা থেকে প্রকল্পের কম্পিউটার চুরির ঘটনা জানাজানি হয়। কিভাবে সেই কম্পিউটার চুরি গিয়েছে পুলিশ এখনও অন্ধকারে। এদিকে রামপুরহাট হাসপাতালে পিপিপি (পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ ) মডেলে সিটি স্ক্যান প্রকল্পটির আজ বিকালে মুখ্যমন্ত্রীর আসানসোল থেকে উদ্বোধন করার কথা। তার আগেই কম্পিউটার চুরি যাওয়ায় নানা মহলে প্রশ্নও উঠেছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রকল্পটির কাজ খুব মন্থর গতিতে এগিয়েছে। নতুন দরজা, জানালা এবং যন্ত্রাংশ বসানোর কাজে প্রথম থেকে বেশ কিছু ত্রূটিও ধরা পড়েছিল। হাসপাতাল সুপার সুবোধ কুমার মণ্ডল বলেন, “মাস দেড়েক থেকে দায়িত্ব প্রাপ্ত সংস্থাকে কাজ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পর থেকে ওই সংস্থার লোকজন আমাদের কাছ থেকে চাবি নিয়ে কাজ করছে। সোমবার আমার কাছ থেকে চাবি নিয়ে গিয়েছে। এর পর পরের দিন মঙ্গলবার আমাকে কম্পিউটার চুরির কথা জানিয়েছেন। আমি তাঁদের কাছ থেকে লিখিত ভাবে বিষয়টি জানার পর পুলিশ এবং উপরমহলে জানিয়েছি।”

এ দিন প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা অবশ্য জানান, যা বলার তাঁদের সংস্থার মালিক বলবেন। তবে চুরি যাওয়া কম্পিউটারে একটি আলাদা সফটওয়ার ছিল। এর জন্য প্রকল্পের কাজের কোনও ক্ষতি হবে না। ইতিমধ্যে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তার মাধ্যমে কাজ চালু থাকবে।” জেলা স্বাস্থ্য ও রোগী কল্যাণ কমিটির চেয়ারম্যান তথা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দফতরের প্রতি মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “হাসপাতালে দালালদের উৎপাত বন্ধ করা গিয়েছে। এতে কিছু লোকের অসুবিধা হচ্ছে। তারাই হাসপাতালে উন্নয়ন মূলক কাজে ব্যঘাত সৃষ্টি করছে। তবে জেলা পুলিশ সুপারকে কম্পিউটার চুরির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।” রামপুরহাট এসডিপিও কোটেশ্বর রাও বলেন, “পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

rampurhat hospital computer theft ct scan project
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE