গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলছেন কামরে ইলাহি। —নিজস্ব চিত্র
লাভপুরের বিধায়ক তৃণমূলের মনিরুল ইসলামের সঙ্গে তাঁর তফাটা কোথায় তা সোমবারের প্রচারে বুঝিয়ে দিলেন বীরভূমের বামফ্রন্ট প্রার্থী সিপিএমের কামরে ইলাহি। বাবা মারা গিয়েছেন গত মঙ্গলবার। তাই দিন কয়েক দূরের দিকে প্রচারে যেতে পারেননি। এ দিন সকালে সাঁইথিয়ার বিধায়ক ধীরেন বাগদি, জোনাল সম্পাদক জুরান বাগদি-সহ দলীয় কর্মীদের সঙ্গে প্রচারে বেরিয়েছিলেন কামরে ইলাহি।
প্রথমে যান সাঁইথিয়ার দেরিয়াপুর এলাকায়। ওই এলাকার গ্রামগুলিতে প্রচার সেরে যান হরিসড়া এলাকায়। সেখানে ঘুরতে ঘুরতে দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ এসে পৌঁছান রুদ্রনগর গ্রামে। মাথার উপর বৈশাখের গন গনে রোদ। হুড খোলা গাড়ি থেকে হাত জোড় করে নামলেন প্রার্থী। তাঁকে দেখে এগিয়ে এলেন গ্রামের এক ঝাঁক মানুষ। যাঁদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা। প্রার্থী কিছু বলার আগেই ওই গ্রামবাসীদের একজন এগিয়ে গিয়ে তাঁর গলায় গাঁদা ফুলের মালা পরিয়ে দিলেন। একযোগে বলে উঠলেন, “আপনার নামের সঙ্গে আমরা বহুদিন থেকে পরিচিত। আপনার কোনও চিন্তা নেই।” কামরে ইলাহি হাত জোড় করে বললেন, “আমি ও আমার দল গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ, কারও হুমকির ভয়ে বা প্ররোচনায় পা না দিয়ে বিচার বিবেচনা করে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন।” পাশ থেকে গ্রামবাসীদের একজন বলে উঠলেন ‘ইলাহি ভরসা।’ সঙ্গে সঙ্গে গ্রামবাসীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা শুরু করে দিলেন, “কামরে ইলাহি সত্যিই ভদ্রলোক। কত বিনয়ী। আসলে ডাক্তার বলে কথা।”
প্রসঙ্গত, শনিবার এক কর্মী সভায় যোগ দিতে এসে লাভপুরের বিধায়ক মনিরুল ইসলাম বলেছিলেন, “একটাও ভোট সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপিকে দিতে দেবেন না। বিজেপির একটি লোককেও ভোট দিতে দেবেন না, এই প্রতিশ্রুতি দিন। এই দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে।” এই মন্তব্য করায় নির্বাচন কমিশন তাঁকে শো-কজ করে। সোমবার ক্ষমাও চেয়ে নেন বিধায়ক। তবে এ দিন সেই রুদ্রনগরে প্রচারে গিয়ে কামরে ইলাহি যে ভাবে সাড়া পেলেন তা কি ফল অন্যরকম হবে? সিপিএম প্রার্থী অবশ্য কারও নাম না করে বলেন, “দেখুন রাজনীতি করতে গেলে কিছু নিষ্ঠার প্রয়োজন আছে। ক্ষমতা আছে বলে যা কিছু বলা বা করার অধিকার আমাদের নেই। এটা গণতান্ত্রিক দেশ। গণতন্ত্র জানতে ও মানতে হবে। আশা করি মানুষজন পরিবর্তনের গুণাবলি এত দিনে বুঝতে পেরেছেন। তাই জয়ের ব্যাপারে অনেকটাই আশাবাদী বলতে পারেন।” এর পরে একটু হেসে বললেন, “১৬ তারিখ জানতে পারবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy