দুর্গা প্রতিমার সামনেই কালীপুজো।—নিজস্ব চিত্র।
পুজো ফুরিয়েছে সপ্তাহ তিনেক আগে। অথচ মন্দিরে এখনও দুর্গা প্রতিমা রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে দুর্গার ষোড়শপচার পর, রাতে শুরু হল কালীপুজো। ভাইফোঁটার পর দিন দুর্গা এবং কালী প্রতিমার বিসর্জন হলে, পুজোর যাবতীয় আচার সম্পূর্ণ হবে। মানবাজার থানার মধুপুর গ্রামের ঘোষমেলার এটাই রীতি।
ঘোষেদের মেলায় এমন প্রথা প্রায় ৩০০ বছর ধরে চলে আসছে। যে মন্দিরে দুর্গা পুজা হয়, সেই মন্দিরেই দুর্গার প্রতিমাকে রেখে কালীর উপাসনা করা হয়। অনেক সময় ব্যাখ্যা হারিয়ে যায় প্রথা টিকে থাকে। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। মধুপুরের ঘোষ পরিবারের সদস্য সুরজিত্ ঘোষ বলেন, “আমাদের আদি বাস ছিল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর এলাকায়। বাবা জ্যাঠাদের কাছে শুনেছি দুর্গাকে মন্দিরে রেখে কালীপুজা করা পরিবারে অনেক প্রাচীন প্রথা। সেই প্রথা এখনও অনুসরণ করে যাচ্ছি।”
দক্ষিণ পুরুলিয়ার মানবাজার, বান্দোয়ান, বরাবাজার, পুঞ্চা প্রভৃতি এলাকায় একচালার কাঠামোতে সাবেকিয়ানা মতে পুজো হয়ে আসছে বেশিরভাগ জায়গাতেই। নিজস্ব স্থায়ী মন্দির আছে কোথাও কোথাও। লক্ষ্মীপুজোর সময় সাধারণত ওই কাঠামোতে থাকা লক্ষ্মীর মূর্তি পুজো করা হয়। শুভদিন দেখে প্রতিমা বিসর্জন করা হয়ে থাকে। মন্দিরের পুরোহিত সমর চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বংশানুক্রমিক ভাবে এই মন্দিরে পুজো করে আসছি। বাবার কাছে শুনেছি, কাশীতে নাকি এ ধরনের পুজোর প্রথা আছে। এই মন্দিরে দুর্গাপুজোর দশমীতে ঘট বিসর্জন হয়ে গেলেও মন্দিরে দুর্গার প্রতিমা রেখে দেওয়া হয়।”
ঘোষ পরিবারের আর এক সদস্য বুলবুল ঘোষ বলেন, “পুজোর যাবতীয় খরচ ঘোষ পরিবারের সদস্যরাই বহন করেন। বাইরের কারও কাছ থেকে আমরা চাঁদা নিই না। যাঁরা চাকরি সূত্রে বাইরে থাকেন, তাঁরাও এ সময় বাড়ি আসেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy