ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে ফেরার সময়ে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়লেন এক আইনজীবী। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে সিউড়ি শহরে প্রশাসন ভবন থেকে ২০০ মিটারের মধ্যে। দুষ্কৃতীরা সৈয়দ আরিফ আলম নামে ওই আইনজীবীর টাকার ব্যাগ টানায় তিনি রিকশা থেকে পড়ে যান। অল্পবিস্তর জখম হন। তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। সিউড়ি ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অরিফ আলম বলেন, “সিউড়ির একটি রাষ্ট্রায়াত্ত্ব ব্যাঙ্ক থেকে ৯০ হাজার টাকা তুলে রিকশায় করে একটি গয়নার দোকানে যচ্ছিলাম। সবে প্রশাসনিক ভবন থেকে ডান দিকে ঘুরে সিউড়ি বাসস্ট্যান্ড যাওয়ার রস্তা ধরেছি। এমন সময় একটি মোটরবাইকে করে দুই আরোহী আমার হাতে থাকা টাকার ব্যাগ কেড়ে নেয় এবং ঝড়ের গতিতে উধাও হয়ে যায়। ওরা এমন ভাবে ব্যাগ ধরে টেনেছিল যে আমি পড়ে যাই।”
তবে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা নিয়ে ফেরার পথে একই ভাবে ছিনতাইয়ের ঘটনা নতুন সিউড়ি শহরে নতুন কিছু নয়। গত ২ মে সিউড়ি থানার ১০০ গজের মধ্যে টাকা খুইয়েছিলেন মহম্মদবাজার থানা এলাকার আঙ্গারগড়িয়ার বাসিন্দা পেশায় ধানের কারবারি বিষ্ণুচরণ মণ্ডল। বিষ্ণুবাবু ওই দিন দুপুর ২টো নাগাদ সিউড়ি থানা এলাকার কাছাকাছি থাকা ওই রাষ্ট্রায়াত্ত্ব ব্যাঙ্কে ধানকল থেকে পাওয়া দেড় লক্ষের টাকার একটি চেক ভাঙিয়ে যখন প্রশাসনিক ভবন ও সিউড়ি আদালতের মধ্যবর্তী রাস্তা ধরে সিউড়ি পুরসভার দিকে এগোচ্ছিলেন, তখনই একটি বাইকে চেপে থাকা দুই আরোহী ধাক্কা মেরে তাঁকে মাটিতে ফেলে দিয়ে হাতের টাকা ভর্তি থলে নিয়ে উধাও হয়ে যায়। শুধু টাকা ছিনতাই নয়, মহিলাদের গলার হার ও গয়না ছিনতাইয়ের একাধিক ঘটনাও সম্প্রতি ঘটছে সিউড়ি শহরে। তবে এ যাবত একটি ঘটনারও কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। ফের দিনেদুপুরে থানা, এসপি অফিস ও প্রাশাসনিক ভবনের এত কাছাকাছি একই ঘটনা ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে শহরে। শহরবাসীর প্রশ্ন, দিনেদুপুরে এমন কারবার ঘটার পরও পুলিশ কেন অপরাধীদের ধরতে পারছে না? তৃণমূল পরিচালিত সিউড়ির পুরপ্রধান উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় বলেন, “শহরে সাইকেল, মোটরবাইক চুরির পাশাপাশি এমন ঘটনা ঘটছে। পুজোর আগে পুলিশকে আরও সতর্ক হতে হবে। তা না হলে এমনটা ঘটতেই থাকবে। আমরা পুলিশের কাছে ওই দাবি জানাব।”
কী বলছে পুলিশ? জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া ফোন ধরেননি। তবে জেলা পুলিশের এক শীর্ষকর্তা বলেন, “ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলার পরে বাইকে করে এসে যে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে, যেগুলি অন্য ছিনতাইয়ের থেকে আলাদা শহরের বাইরের কোনও দল এ কাজ করছে। পুলিশ সেই দলটিকে ধারার চেষ্টা করছে। বাকি ছিনতাইয়ের ঘটনাও সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy