Advertisement
E-Paper

ডাকঘরে তালা সিমলাপালে

পর্যাপ্ত ডাক টিকিট নেই। পোস্টার অর্ডারও মিলছে না। মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেও সময় মতো জমা টাকা পাওয়া যাচ্ছে না এমনই একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে সিমলাপালের লক্ষ্মীসাগর উপডাকঘরে তালা ঝুলিয়ে দিলেন এলাকার বাসিন্দারা। সোমবারের ঘটনা। এ দিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ৫ ঘণ্টা ধরে ওই উপডাকঘরের ভিতরে পোস্টমাস্টার-সহ তিন কর্মীকে আটকে রাখা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:৪৫
ডাকঘরের সামনে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র

ডাকঘরের সামনে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র

পর্যাপ্ত ডাক টিকিট নেই। পোস্টার অর্ডারও মিলছে না। মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেও সময় মতো জমা টাকা পাওয়া যাচ্ছে না এমনই একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে সিমলাপালের লক্ষ্মীসাগর উপডাকঘরে তালা ঝুলিয়ে দিলেন এলাকার বাসিন্দারা।

সোমবারের ঘটনা। এ দিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ৫ ঘণ্টা ধরে ওই উপডাকঘরের ভিতরে পোস্টমাস্টার-সহ তিন কর্মীকে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে এলাকায় যান সিমলাপালের বিডিও সৌম্যব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সিনিয়র পোস্টমাস্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিলেও দুপুর পর্যন্ত তালা খোলেননি বিক্ষোভকারীরা। পরে ডাককর্মী স্বপন চক্রবর্তী মুচলেকা দেওয়ার পরে দুপুর তিনটে নাগাদ তালা খোলে। সিমলাপাল ব্লকের লক্ষ্মীসাগর পঞ্চায়েতের ৫-৬ টি গ্রামের বাসিন্দারা এই ডাকঘরের মাধ্যমে তাঁদের দৈনন্দিন কাজকর্ম করেন। এ দিনের বিক্ষোভে সামিল গ্রামবাসী সুরজ মহন্ত, উজ্জ্বল কাইতি, স্বপন গরাই বলেন, “ডাকঘর থেকে ডাক টিকিট, পোস্টাল অর্ডার মিলছে না। ফলে এলাকার চাকরি প্রার্থীরা চুড়ান্ত অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ফিক্সডিপোজিটের টাকা সময় মত পাচ্ছি না আমরা। এ ব্যাপারে পোস্টমাস্টারকে বার বার জানিয়েও লাভ হয়নি। উল্টে স্বপন চক্রবর্তী নামে এক ডাককর্মী গ্রাহকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছেন।” বিডিও বলেন, “ওই উপডাকঘরে কর্মীদের আটকে রেখে তালা দেওয়ার খবর পেয়ে সেখানে গিয়েছিলাম। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁদের সামনেই সিনিয়র পোস্টমাস্টারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। তাঁকে সমস্যার কথা জানানো হয়েছে।”

অভিযোগ অস্বীকার করে ডাককর্মী স্বপনবাবু বলেন, “সকলের সঙ্গে আমরা ভাল ব্যবহারই করি। তবুও স্থানীয়দের দাবি মেনে মুচলেকা দিয়েছি।” ৮ ডিসেম্বর থেকে এই উপডাকঘরের দায়িত্বে রয়েছেন লক্ষ্মীসাগর উপডাকঘরের ভারপ্রাপ্ত পোস্টমাস্টার তরণীপ্রসাদ খা।ঁ তাঁর দাবি, “পোস্টাল অর্ডার, ডাক টিকিটের সরবরাহ কম রয়েছে। কম্পিউটারে মাঝে মধ্যে সমস্যা হওয়ায় কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে। এর ফলে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ঠিক নয়।” তিনি বলেন, “গ্রাহকেরা এক কর্মীকে বদলির যে দাবি করছেন তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। এ ক্ষেত্রে আমার কিছু করণীয় নেই।”

agitation simlapal post office
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy