জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতোর হাত প্রদীপ কর্মকারের কাঁধে।—নিজস্ব চিত্র।
পুরভোটের মুখে ফের দলবদল করলেন ঝালদার প্রাক্তন পুরপ্রধান প্রদীপ কর্মকার।
তৃণমূল ছেড়ে তিনি কংগ্রেসে ফিরলেন। রবিবার বিকেলে জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা বাঘমুণ্ডির বিধায়ক নেপাল মাহাতোর উপস্থিতিতে ঝালদা কংগ্রেস কার্যালয়ে তিনি ফের কংগ্রেসে প্রত্যাবর্তনের কথা ঘোষণা করেন। কংগ্রেসেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি প্রদীপবাবুর। গত পুরসভা নির্বাচনে পুনরায় নির্বাচিত হন তিনি। বামফ্রন্ট ঝালদা পুরসভার ক্ষমতা দখল করলেও কিছুদিন পরেই অনাস্থায় জয়ী হয়ে পুরপ্রধানের পদে আসীন হন প্রদীপবাবু। দীর্ঘদিন তিনি পুরপ্রধানের পদ সামলালেও ফের অনাস্থা আসে এই পুরসভায়। তাঁর পক্ষে অবশ্য পুরপ্রধানের চেয়ার ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। তার আগেই অবশ্য তিনি কংগ্রেসের ডিঙা ছেড়ে তৃণমূলের নৌকোয় ওঠেন।
প্রথমে তৃণমূণ ভবনে গিয়ে এবং পরে দলের শীর্ষনেতা মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে ঝালদা শহরে এক প্রকাশ্য সভায় প্রদীপবাবু আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁকে তৃণমূলের ঝালদা শহর কমিটির সভাপতিও করা হয়। তারপর বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে প্রদীপবাবুর দূরত্ব তৈরি হলেও তিনি মুখে কুলুপ এঁটেই থেকেছেন। গত মে মাসে জেলা কমিটি ভাঙার পরে কে ঝালদা শহরে দলের কাজকর্ম দেখভাল করবেন তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। একাধিকবার জেলা নেতৃত্বের কাছে এ ব্যাপারে তিনি জানতে চেয়েও জবাব পাননি বলেই প্রদীপবাবুর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের খবর।
এ দিন তিনি বলেন, “ফের ঘরেই ফিরে এলাম। দেখলাম ঝালদার মানুষকে যদি স্থায়ী বোর্ড উপহার দিতে হয় এবং উন্নয়ন করতে হয় তাহলে কংগ্রেসই তা দিতে পারে। তাই কংগ্রেসেই ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিলাম।” মুকুলবাবুও দলে এখন কোণঠাসা। তাই কি তৃণমূলে সম্মানজনক পদ পাওয়ার আশা নেই দেখেই তাঁর কংগ্রেসে প্রত্যাবর্তন? জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন প্রদীপবাবু।
নেপালবাবু বলেন, “প্রদীপ আমাদের দলের পুরনো কর্মী। মাঝখানে তৃণমূলে গিয়েছিলেন, ফের ঘরেই ফিরলেন। আমরা তাঁকে স্বাগত জানাচ্ছি।” জেলা তৃণমূল সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো অবশ্য দাবি করেছেন, “প্রদীপবাবুকে নানা কারণে আগেই বহিষ্কার করা হয়েছিল।” যদি কী কারণ তা ব্যাখ্যা করেননি। যদিও ঝালদার তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ জানিয়েছেন, প্রদীপবাবুকে বহিষ্কারের কথা তাঁরে আগে শোনেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy