খয়রাশোলের তৃণমূল নেতা খুনে জড়িত থাকার সন্দেহে বুধবার এক ব্যক্তিকে আটক করল পুলিশ। নির্মল গোপ নামে ওই ব্যক্তি খয়রাশোল ঘেঁষা ঝাড়খণ্ডের মুড়োমাঠের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ। বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও এ ব্যাপারে বিশদে কিছু বলতে চাননি। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আটক ওই ব্যক্তিকে খয়রাশোল থানায় না রেখে তদন্তের স্বার্থে রাজনগর থানায় নিয়ে গিয়ে জেরা করা হচ্ছে।
গত শনিবার রাতে বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দূরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন তৃণমূলের প্রাক্তন খয়রাশোল ব্লক সভাপতি অশোক মুখোপাধ্যায়। বাড়ির মনসা পুজোর জন্য ফল কিনতে বেরিয়ে গ্রামের ফলের দোকানের মধ্যেই লুটিয়ে পড়েন। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করলেও নিহত নেতার পরিবারের অভিযোগে গোষ্ঠী কোন্দলই প্রকাশ্য এসেছে। গত বছর অগস্ট মাসেই অশোক মুখোপাধ্যায়ের প্রবল বিরোধী বলে পরিচিত খয়রাশোলের আর এক প্রভাবশালী নেতা অশোক ঘোষ একই ভাবে খুন হয়েছিলেন। তাতে মূল অভিযুক্তের তালিকায় নাম ছিল অশোক মুখাপাধ্যায়ের। এই খুন সেই খুনের পাল্টা? না কি গোষ্ঠী কোন্দল? ক্ষমতা দখল? না কয়লা সাম্রাজ্যের অধিকার নিয়ে লড়াই? তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ওই দিন রাতে ঘটে যাওয়া ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ বেশ কয়েকটি সূত্র যাচাই করতে চাইছে। এক দুষ্কৃতীরা ওই নেতার উপরে হামলা চালানোর পর কোন পথে পালিয়েছে? কারণ যে মোটরবাইক দুষ্কৃতীরা ব্যবহার করেছিল সেগুলির পিছনের লাইটের কানেকশন কাটা ছিল। ফলে পালানোর পথে বাইকের নম্বর বা পালানোর রাস্তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। অশোক মুখোপাধ্যায় যখন ফলের দোকানে ছিলেন তখন আরও তৃতীয় জনের উপস্থিতি নিয়েও সমান উদ্বিগ্ন পুলিশ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত নিহত নেতার পরিবারের দায়ের করা ৪৪ জন অভিযুক্তের কাউকেই গ্রেফতার করেনি পুলিশ। জেলা পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা জানান, যেহেতু ঘটনায় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের নামই জড়িয়েছে, তাই ঘটনায় নির্বিচারে ধরপাকড় না করে তদন্ত কিছুটা গুটিয়ে নিয়ে সাবধানে এগোতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy