Advertisement
E-Paper

তরুণ ডাক্তারের মৃত্যু ঘিরে রহস্য

একটি বেসরকারি রোগনির্ণায়ক সেন্টারের শৌচাগার থেকে এক চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। শনিবার রাতে রামপুরহাট হাসপাতাল পাড়া এলাকার ঘটনা। মৃতের নাম কালীপ্রসাদ অধিকারী (৩২)। বাড়ি মহম্মদবাজারের গোপালনগরে। ওই চিকিৎসক কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের গাইনি বিভাগের প্রফেসর ছিলেন। গত চার বছর ধরে তিনি রামপুরহাট ও নলহাটিতে শনি ও রবিবার দু’দিন প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:৩১

একটি বেসরকারি রোগনির্ণায়ক সেন্টারের শৌচাগার থেকে এক চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। শনিবার রাতে রামপুরহাট হাসপাতাল পাড়া এলাকার ঘটনা। মৃতের নাম কালীপ্রসাদ অধিকারী (৩২)। বাড়ি মহম্মদবাজারের গোপালনগরে। ওই চিকিৎসক কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের গাইনি বিভাগের প্রফেসর ছিলেন। গত চার বছর ধরে তিনি রামপুরহাট ও নলহাটিতে শনি ও রবিবার দু’দিন প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতেন।

ওই সেন্টারের মালিক আব্দুল মতিন জানান, গত চার বছর ধরে ডাক্তারবাবু এখানে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে আসতেন। বেশি রাত হয়ে গেল তিনি আব্দুল মতিনের দোতলার একটি থেকে যেতেন। শনিবার এখানে রোগী দেখে সন্ধ্যায় নলহাটিতে একটি নার্সিংহোমে যান তিনি। রাত সাড়ে ৮টার পরে আব্দুলকে হোটেল থেকে খাবার নিয়ে আসার জন্য বলেন ডাক্তারবাবু। আব্দুল বলেন, “রাত সাড়ে ১০টার পর আমি শৌচাগারে যেতে গিয়ে দেখি অনেক ক্ষণ থেকে ভেতরে আলো জ্বলছে। শৌচাগারের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। সন্দেহ বশত দরজা একটু ফাঁক করতেই দেখি ডাক্তারবাবু ভিতরে পড়ে আছেন। তখন অন্যদের ডেকে শৌচাগারের দরজা খোলার ব্যবস্থা করি। দেখি, ডাক্তারবাবু গলায় উলের মাফলারের ফাঁস লাগিয়ে সাওয়ারের সঙ্গে ঝুলছেন। খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে দেহ নিয়ে যায়।”

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদেহের দু’টি হাতে পলা ও গলায় মঙ্গলসূত্র ছিল। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের ধারণা, দিন কয়েক আগে কালীপ্রসাদবাবুর শ্বশুর মারা গিয়েছেন। সেখান থেকে স্ত্রীর গয়না নিয়ে এসেছিলেন তিনি। সম্ভবত পারিবারিক কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন এবং সেই কারণে, তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।

মৃতের চার বছরের ছেলে ও দেড় বছরের মেয়ে রয়েছে। স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়ে ছেলেমেয়েকে নিয়ে বাপেরবাড়ি মালদহ থেকে রামপুরহাটে চলে আসেন স্ত্রী শর্মিষ্ঠা উপাধ্যায়। তাঁর দাবি, “ওই দিন রাত ১০টার পরে তাঁর সঙ্গে স্বাভাবিক কথাবার্তা হয়েছে। এমন কিছু হয়নি যে, তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন।” বাবা শিশির অধিকারী বলেন, “রোগীর চাপ না থাকলে ছেলে বাড়ি আসত। ওই দিন কোনও কথা হয়নি। কেন এমন করল বুঝতে পারছি না।”

rampurhat doctor death
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy