Advertisement
E-Paper

দাবি থেকে সরছি না, অনড় সিভিক পুলিশের সংগঠন

কলকাতায় সমাবেশে যোগ দেওয়ার পরেই কাজ যায় চার সিভিক পুলিশের। কিন্তু জেলায় সম্মেলন করে সিভিক পুলিশ নেতৃত্ব জানিয়ে দিলেন, ওঁদের বহিষ্কার করা হলেও আন্দোলন থেকে পিছিয়ে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৪ ০০:২৪
‘পুলিশ’ তকমা তুলে দিলেও টি-শার্টে এখনও রয়েছে।—নিজস্ব চিত্র।

‘পুলিশ’ তকমা তুলে দিলেও টি-শার্টে এখনও রয়েছে।—নিজস্ব চিত্র।

কলকাতায় সমাবেশে যোগ দেওয়ার পরেই কাজ যায় চার সিভিক পুলিশের। কিন্তু জেলায় সম্মেলন করে সিভিক পুলিশ নেতৃত্ব জানিয়ে দিলেন, ওঁদের বহিষ্কার করা হলেও আন্দোলন থেকে পিছিয়ে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।

বুধবার ঝালদার কমিউনিটি হল ঘরে ‘সিভিক পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন’ প্রথম জেলা কমিটি করে জানিয়ে দিল, আগের চার দফার সঙ্গে আরও দু’দফা দাবি যোগ করে মোট ছ’দফা দাবিতে এ বার বৃহত্তর আন্দোলনের প্রস্তুতি শুরু করলেন তাঁরা। এ দিন ঝালদা আনন্দবাজার এলাকায় ঝালদা ও লাগোয়া এলাকার সিভিক পুলিশ কর্মীরা ওই সম্মেলনে যোগ দেন। সংগঠনের জেলা সভাপতি মিলন গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের ‘সিভিক পুলিশ’ হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। আমরা নিজেদের দাবি-দাওয়া নিযে সরব হতেই আচমকা ‘পুলিশ’ কথাটি ছেঁটে ফেলা হল। আমাদের আগের চার দফা দাবি ছিলই। এ বার আমরা আরও দু’টি দাবি যুক্ত করলাম।”

তাঁদের নতুন দাবি কী? মিলনবাবু জানান, প্রথমত ‘পুলিশ’ শব্দটি বাদ দেওয়া যাবে না। দ্বিতীয়ত, বিনা কারণে যাঁদের বাদ দেওয়া হয়েছে, অবিলম্বে তাঁদের পুনর্বহাল করতে হবে। এই দু’টি দাবি এ দিনের সম্মেলন থেকে উঠে এসেছে। সিভিক পুলিশদের স্বরাষ্ট্র দফতরের বিধি মোতাবেক নিয়োগপত্র ও স্থায়ী ভাবে নিয়োগ, সরকার নির্ধারিত হারে মজুরি, অন্য সরকারি কর্মীদের মতো সুবিধা প্রদান এবং পুলিশ কর্মীদের মতো প্রশিক্ষণ, নিরাপত্তা দেওয়ার দাবি আগেই ছিল। সংগঠনের নেতৃত্বের দাবি, এই দাবিগুলি নিয়ে তাঁরা রাজ্যের শ্রমমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন। তিনি দাবিগুলির প্রতি সহমত পোষণ করেছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও পুলিশ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া চারজনকে সিভিক পুলিশের কাজ ছেকে ছাঁটাই করা হয়েছে। মিলনবাবু তাঁদের অন্যতম।

বলরামপুর থানা এলাকার কাজ হারানো আর এক সিভিক পুলিশকর্মী মনোজ রজকও এ দিন সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, “আমরা তো শুধুমাত্র আমাদের জন্য দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলনে যাইনি, গিয়েছিলাম সব কর্মীর স্বার্থেই। তা ছাড়া দাবিগুলি যুক্তিসঙ্গতও। বদলে কাজ হারাতে হল। তাই এ দিন বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে সিভিক পুলিশ কর্মীরা আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।” তিনি জানান, দাবিগুলি নিয়ে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবেন। মিলনবাবু বলেন, “এ দিন ঝালদা থানা এলাকায় সম্মেলন করা হল। শীঘ্রই বিভিন্ন থানা এলাকায় সম্মেলন করা হবে। তারপর সংগঠনের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি ঠিক করা হবে। কাজ হারানো বলরামপুর এলাকার আর এক কর্মী তথা সংগঠনের রাজ্য সহ-সভাপতি জিতেন মাঝি বলেন, “আন্দোলন থেকে পিছিয়ে আসার প্রশ্ন নেই। অনেকে নানা হুমকির জন্য প্রকাশ্য আসতে পারছেন না। কিন্তু সমর্থন আছে আমাদের সঙ্গে।”

demand civic police purulia
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy