Advertisement
E-Paper

ধর্ষণে অভিযুক্ত কনস্টেবল

চকোলেটের লোভ দেখিয়ে ন’বছরের এক বালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তারই পড়শি এক জুনিয়র কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। সিমলাপাল থানা এলাকায় শনিবার সন্ধ্যার ঘটনা। রাতে ওই বালিকার বাবা গ্রামেরই ধনঞ্জয় সিংহ মহাপাত্র নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনার জেরে এলাকায় ওই গ্রামে উত্তেজনা ছড়ায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৪ ০০:৫৬

চকোলেটের লোভ দেখিয়ে ন’বছরের এক বালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তারই পড়শি এক জুনিয়র কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। সিমলাপাল থানা এলাকায় শনিবার সন্ধ্যার ঘটনা। রাতে ওই বালিকার বাবা গ্রামেরই ধনঞ্জয় সিংহ মহাপাত্র নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনার জেরে এলাকায় ওই গ্রামে উত্তেজনা ছড়ায়। গ্রামবাসীরা রাতেই সিমলাপাল থানায় গিয়ে অভিযুক্তকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। ঘটনার পরেই অভিযুক্ত গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে রাতেই ওই গ্রামে যান খাতড়ার এসডিপিও কল্যাণ সিংহ রায়।

বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, “ধনঞ্জয় সিংহ মহাপাত্র নামে পুরুলিয়া পুলিশ লাইনে কর্মরত এক জুনিয়র কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ন’বছরের এক বালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। অভিযুক্ত পলাতক। তাকে ধরার সব রকম চেষ্টা চলছে।”

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলে গ্রামের আটচালায় বন্ধুদের সঙ্গে খেলা করছিল ওই বালিকা। গ্রামেরই প্রাথমিক স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে সে। পুরুলিয়া পুলিশ লাইনে কর্মরত জুনিয়র কনস্টেবল বছর পঁচিশের ধনঞ্জয় দিন দুয়েক আগে ছুটিতে বাড়ি এসেছেন বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। ওই নাবালিকার বাবার অভিযোগ, “মদ্যপ অবস্থায় ধনঞ্জয় প্রথমে আমার মেয়েকে চকোলেটের লোভ দেখিয়ে ডাকে। এরপর তার হাতে চকোলেট দিয়ে তাকে কিছুটা দূরে পুকুরপাড়ের নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়ে কান্নাকাটি করলে ধনঞ্জয় ভোজালি দেখায়, চড় ধাপ্পড় মারে।”

তাঁর দাবি, মেয়ের কান্নাকাটি ও শারীরিক অবস্থা দেখে ওর মা প্রথমে ঘাবড়ে যায়। পরে মেয়ে তাদের জানায়, ধনঞ্জয় ওকে ডেকে নিয়ে গিয়ে কী ভাবে ধর্ষণ করেছে। এরপর তিনি পড়শিদের ঘটনাটি জানান। অভিযুক্তের বাড়িতেও যান পড়শিরা। কিন্তু ততক্ষণে ধনঞ্জয় পালিয়ে গিয়েছে। রাতেই মেয়েটিকে সিমলাপাল ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়। পরে গ্রামের বেশকিছু মানুষ থানায় অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশের কাছে ধনঞ্জয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন ওই বালিকার বাবা। অভিযুক্তের বাবা পেশায় স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলের প্রধানশিক্ষক। তবে চেষ্টা করেও অভিযুক্তের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

simlapal rape case
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy