বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় আদিবাসীদের আর্থ সামজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে গঠিত জেলার একটি লার্জ সাইজ মাল্টিপারপাস কো-আপারেটিভ সোসাইটির (ল্যাম্পস) দখল করল তৃণমূল। শুক্রবার সিউড়ি ২ ব্লকের পুরন্দরপুরে অবস্থিত সিধো-কানহু লার্জ সাইজ মাল্টিপারপাস কো-আপারেটিভ সোসাইটির পরিচালন সমিতির জন্য ৬৫ জন সদস্য জয়লাভের পর বিজয় মিছিল করে শাসকদল। ১৯৮৭ সাল থেকে বামেদের দখলে থাকা ওই ল্যাম্পসটি তাদের হাতে আসায় উচ্ছ্বসিত তৃণমূলের দুই ব্লকের সভাপতি নুরুল ইসলাম। তাঁর কথায়, “জন্মলগ্ন থেকেই এই কো-আপারেটিভ সোসাইটিতে কোনও নির্বাচন না করিয়ে কার্যত আদিবাসীদেরই বঞ্চনার শিকার করেছে সিপিএম। তার ফলই পেলাম।” ওই তৃণমূল নেতার কটাক্ষ, “এই এলাকায় না কি বিজেপির চরম প্রভাব বেড়েছে। কাউকে মনোনয়ন দিতে তো নিষেধ করা হয়নি বা বাধাও দেওয়া হয়নি। তা হলে সিপিএম বা বিজেপি কোথায় গেল?” বিজপির জেলা সভাপতি দুধকুমার মণ্ডল অবশ্য বলছেন, “এলাকায় কোনও আশান্তি এড়াতে এই ধরনের নির্বাচনে দলীয় কর্মীদের নিষেধ করা হয়েছে।” সিপিএমের সিউড়ির জোনাল সম্পাদক দেবশিস গঙ্গোপাধ্যায়ও একই কথা বলেন। তবে আজন্ম ওই ল্যাম্পসে নির্বাচন না করানো নিয়ে তৃণমূলের যে অভিযোগ করছেন সেটা মানতে নারাজ দেবাশিসবাবু। তিনি বলেন, “ওই এলাকায় আমরাই নিরঙ্কুশ ছিলাম। কোনও প্রতিপক্ষই ছিল না তাই নির্বাচন করার প্রয়োজন হয়নি।” দফতর সূত্রে খবর, প্রথমে অণগ্রসর শ্রেণিকল্যান বিভাগের আওতায় ও পরে আদিবাসী উন্নয়ন সমবায় নিগম লিমিটেডের আওতায় এমন ১২টি সমবায় রয়েছে। সিউড়ি ২-এ সিধো কানহু লার্জ সাইজ মাল্টিপারপাস কো-আপারেটিভ সোসাইটি সেগুলির অন্যতম। ওই সমবায়ের সদস্য সংখ্যা ২০১৭ জন। ব্লকের গোবরা, একডালা, তাপাইপুর, সলখানা, হরিপুর সাজিনা-সহ বেশ কিছু আদিবাসী গ্রামের মানুষ এই সমবায়ের দ্বারা উপকৃত হন। চলতি মাসের ১ ও ২ তারিখ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন ছিল। ৩ তারিখ মনোনয়ন খতিয়ে দেখা এবং শুক্রবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন ছিল। প্রক্রিয়া শেষে ৬৫ জন প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন আদিবাসী উন্নয়ন সমবায় নিগম লিমিটেডের সিউড়ি শাখার ম্যানেজার বামাপদ চন্দ্র।