Advertisement
E-Paper

ব্লক অফিসে মারামারি তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর

দিনে দুপুরে ব্লক অফিস চত্বরের মধ্যেই মারপিট হল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর। সংঘর্ষে জখম হলেন দুই গোষ্ঠীর জনা দশেক কর্মী-সমর্থক। সোমবার দুপুরে ইন্দাস ব্লক অফিস চত্বরের এই ঘটনায় শাসকদলের গোষ্ঠী কাজিয়া ফের প্রকাশ্যে এসেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১৯:৪৯

দিনে দুপুরে ব্লক অফিস চত্বরের মধ্যেই মারপিট হল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর। সংঘর্ষে জখম হলেন দুই গোষ্ঠীর জনা দশেক কর্মী-সমর্থক। সোমবার দুপুরে ইন্দাস ব্লক অফিস চত্বরের এই ঘটনায় শাসকদলের গোষ্ঠী কাজিয়া ফের প্রকাশ্যে এসেছে।

আহতদের মধ্যে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) ইন্দাস ব্লক সভাপতি শেখ হামিদ-সহ দু’জনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পরে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আসে। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর তরফেই পরস্পরের বিরদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

২০০৯ সালের লোকসভা ভোটের পর থেকেই সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষে প্রায় দিনই খবরের শিরোনামে থাকত বাঁকুড়ার এই অঞ্চল। গত বিধানসভা নির্বাচন ও গত বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ক্ষমতার হাতবদল হওয়ার পরেও রাজনৈতিক অশান্তি শেষ হয়নি ইন্দাসে। জেলা তৃণমূল সূত্রের খবর, ইন্দাসের বিধায়ক গুরুপদ মেটের গোষ্ঠীর সঙ্গে ব্লক তৃণমূল নেতা রবিউল হোসেনের গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের জেরে গণ্ডগোল লেগেই থাকে। বিধানসভা ভোট পর্যন্ত বিধায়কের সঙ্গে রবিউল হোসেনের সম্পর্ক ভাল ছিল। পরবর্তী সময়ে তাতে চিড় ধরে। বিধায়ক গুরুপদবাবুর অভিযোগ, “ব্লকের প্রতিটি এলাকায় পথবাতি বসানোর জন্য আমি বিধায়ক তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ করেছি। কিন্তু, ইন্দাসের কয়েকটি এলাকা ছাড়া কোথাও সে ভাবে পথবাতি বসানোর কাজ হয়নি।” এই কাজের অগ্রগতি জানার জন্যই এ দিন দুপুরে এলাকার তৃণমূল নেতা গৌতম বেরা কয়েক জন দলীয় কর্মীকে নিয়ে ব্লক অফিসে গিয়েছিলেন। সেই সময় রবিউলের অনুগত হামিদ দলবল নিয়ে হামলা চালিয়ে কয়েক জন তৃণমূল কর্মীকে মারধর করে বলে গুরুপদবাবুর অভিযোগ।

ব্লক তৃণমূলের যুগ্ম-আহ্বায়ক রবিউল হোসেনের পাল্টা অভিযোগ, “পরিকল্পিত ভাবে এ দিন গৌতম বেরা লাঠি, রড হাতে তাঁর কিছু সঙ্গীকে নিয়ে গিয়ে ব্লক অফিস চত্বরে হামিদ-সহ কয়েক জনকে মারধর করেন। এখন আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।” তাঁর দাবি, সংঘর্ষে দশ জন জখম হন। গৌতম বেরার অবশ্য দাবি, “আমাকে মারার জন্যই হামিদরা হামলা চালিয়েছিল। আমি কাউকে মারিনি। আমাদের হাতে লাঠি, রড ছিল না।” ইন্দাসের বিডিও পুষ্পেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশকে ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”

group clash indus
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy