তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র ডাকা মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনে গত চার দিন ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে বিষ্ণুপুর ব্লকের অযোধ্যা, রাধানগর অঞ্চলের ২৫টি ইটভাট। ফলে সমস্যায় পড়েছেন ভাটা মালিকরা। আর্থিক ও অন্যান্য নানা দিক থেকে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে দাবি ইটভাটা মালিকদের। বৃহস্পতিবার ক্ষতিগ্রস্ত ভাটা মালিকদের পাশে দাঁড়িয়ে, দ্রুত বন্ধ হয়ে থাকা ভাটাগুলি খোলার দাবিতে বিষ্ণুপুরের মহকুমাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিল বিষ্ণুপুর চেম্বার অফ কমার্স।
সংগঠনের বিষ্ণুপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক আশিসকুমার দে বলেন, “ওই ভাটা মালিকদের অনেকেই আমাদের সংগঠনের সদস্য। যে ভাবে জোর করে বেতন বৃদ্ধির নামে ভাটাগুলি বন্ধ করে রাখা হয়েছে এবং উত্পাদিত পণ্য বিক্রিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, তাতে সংশ্লিষ্ট ভাটা মালিকরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়েও চিন্তিত। বিষয়টি প্রশাসনকে দেখার আবেদন জানিয়েছি।” একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের বণিকসভার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মধুসূদন দরিপা আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। এর পরেও সমস্যা না মিটলে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করবেন তাঁরা। মহকুমাশাসক পলাশ সেনগুপ্ত বলেন, “চেম্বার অফ কমার্সের স্মারকলিপি আমরা পেয়েছি। বিষয়টি বিষ্ণুপুরের সহকারী শ্রম কমিশনারকে দেখতে বলা হয়েছে।” আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি তথা শালতোড়ার তৃণমূল বিধায়ক স্বপন বাউরি বলেন, “ওই এলাকার স্থানীয় নেতৃত্বকে কাজ চালু রেখে আলোচনা চালিয়ে যেতে বলেছি। সামান্য বেতন বৃদ্ধি নিয়ে এই আন্দোলন। আশা করছি সমস্যাটি দ্রুত মিটে যাবে।” সমস্যা অবশ্য এখনও মেটার লক্ষ্মণ দেখা যাচ্ছে না। উল্লেখ্য, এক হাজার ইট বানালে বর্তমানে মজুরি মেলে ৩৯০ টাকা। শাসকদলের শ্রমিক সংগঠন আরও ২৫ টাকা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে কাজ বন্ধ রেখে সরব হয়েছে। শ্রমিকেরা যেমন কাজ পাচ্ছেন না, তেমনই ক্ষতি হচ্ছে ভাটাগুলিরও।
ইটভাটা মালিক সমিতির বিষ্ণুপুর মহকুমা কমিটির সম্পাদক বিশ্বজিত্ সেনগুপ্তর আবার দাবি, “এই শিল্পের বাজার ক্রমশ কমছে। দাম বাড়ছে কয়লার। এই অবস্থায় মজুরি বাড়ানো সম্ভব নয় বলে ওই শ্রমিক সংগঠনকে জানিয়েছি। তার পরেও জোর করে চার দিন ধরে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। চুল্লি জ্বালিয়ে রাখতে কয়লাও দিতে দেওয়া হচ্ছে না। মাল বহনকারী গাড়িও আটকে দেওয়া হচ্ছে। এমনিতেই লোকসানে চলছে ব্যবসা। এই শ্রমিক আন্দোলন আরও লোকসানের দিকে ঠেলে দিল আমাদের।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy