কখনও থানা কমিটির দায়িত্ব বদলে, কখনও অঞ্চলের সভাপতি ও সম্পাদকের মাথায় আহ্বায়ক বসিয়ে দলের সংগঠন অটুট রাখতে যখন নাজেহাল তৃণমূল, ঠিক তখন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ঢল অব্যহত পাড়ুইয়ে। রবিবার সন্ধ্যায় পাড়ুই বাজার এবং সাত্তোর অঞ্চলের কেন্দ্রডাঙ্গাল এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন শতাধিক বিজেপি নেতা, কর্মী ও সমর্থকেরা। সন্ধ্যায় কেন্দ্রডাঙ্গালে বাস স্ট্যান্ডের কাছে ফুটবল মাঠে একটি পথ সভা করেন তারা। বিজেপিতে যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব। প্রতিবাদ মিছিল এবং তৃণমূল থেকে বিজেপি তে যোগদান কর্মসূচিতে বিজেপির পক্ষে হাজির ছিলেন স্থানীয় বিজেপি নেতা নিমাই দাস, জেলা কমিটির সদস্য উজ্জ্বল মজুমদার ও সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থলগ্নী সংস্থা সারদার সঙ্গে যুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা ও কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধের দাবিতে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে পাড়ুই থানা এলাকায় তৃণমূলের ভাঙন রুখে, সংগঠনকে চাঙা সংশ্লিষ্ট থানা কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে মুস্তাক হোসেনের ওপর দায়িত্ব দেয় জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। সংশ্লিষ্ট থানা এলাকার আওতায় থাকা মোট আটটি পঞ্চায়েতের দলীয় নেতৃত্বের রদবদল আনেন মুস্তাক। দলের ভিতরের খবর, ওই এলাকায় থাকা আটটি অঞ্চলের পুরনো কমিটিগুলির একাধিক সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে এলাকায় ক্ষোভ ছিল দীর্ঘ দিনের। সেই ক্ষোভ প্রশমন করা-সহ দলে নতুন মুখ এবং তৃণমূলের গ্রহনযোগ্যতা বাড়াতে ওই থানার প্রত্যেক অঞ্চলের সভাপতি ও সম্পাদকের মাথায় এক জন করে আহ্বায়ক বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুস্তাক। দুটি অঞ্চলে বৈঠক করে আহ্বায়কের সিদ্ধান্ত নিয়েও ফেলে দল। যদিও তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা সেই রদবদলে খুব একটা আস্থা রাখেনি দলের উপর। এ দিনের সভায় হাজির তৃণমূলের এক বিক্ষুব্ধ নেতার কথায়, “পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটে হাড় হিম করার মত খাটুনি হয়েছে। দল ভাল ফল করেছে। কিন্তু দুর্নীতির মধ্যে ডুবে আছে যে সব নেতারা, তাঁদের বিরুদ্ধে দল কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। বাধ্য হয়ে অন্য দলে ভরসা রাখতে হচ্ছে।”