বাড়িতে ফিরে ভাত না পাওয়ায় রাগে চ্যালাকাঠ দিয়ে পিটিয়ে মাকে খুন করার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। ভাসুরের হাত থেকে শাশুড়িকে রক্ষা করতে গিয়ে আহত হলেন বৌমা। আহত হয়ে তিনি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা নাগাদ মানবাজার থানার চিরুভিটা গ্রামের ঘটনা। নিহত বৃদ্ধার নাম রশি মাঝি (৬৬)। তাঁকে খুনের অভিযোগে বড় ছেলে শিবনাথ মাঝিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রাম সূত্রের খবর, রশিদেবীর দুই ছেলে শিবনাথ ও হলধর। ছোট ছেলে হলধর দেড় বছর আগে জন্ডিসে ভুগে মারা গিয়েছেন। শিবনাথের স্ত্রী থাকেন বাপের বাড়িতে। দিনমজুরি করেই তাঁদের সংসার চলে। বৃহস্পতিবার রাতে খুনের পেয়ে পুলিশ গ্রামে গিয়ে দেখেন একটি ঘরের মধ্যে শাশুড়ি ও বউমা পড়ে রয়েছেন। ততক্ষণে শাশুড়ি রশিদেবীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা হলধরের স্ত্রী সন্ধ্যা মাঝিকে উদ্ধার করে মানবাজার গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করেন।
শুক্রবার সন্ধ্যাদেবী জানান, তাঁর ভাসুর মাঝেমধ্যেই বাড়িতে থাকতেন না। শাশুড়ি ও তিন ছেলেমেয়েকে নিয়ে তিনি নিজের আয়ে কোনওরকমে সংসার চালান। কয়েকদিন আগে শিবনাথ বাইরে যান। তাঁর অভিযোগ, “বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমরা সবাই খাওয়াদাওয়া সেরে শুয়ে পড়েছিলাম। রাত ১০টা নাগাদ হঠাত্ ভাসুর বাড়িতে এসে খাবার চায়। শাশুড়ি জানায়, তাঁর আসার খবর না থাকায় রান্না করা হয়নি। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি চলছিল। কুপির আলোয় দেখি ভাসুর পাশে একটা চ্যালাকাঠ তুলে শ্বাশুড়ির মাথায় আঘাত করে। তিনি আর্তনাদ করে পড়ে গেলেন। ওই অবস্থাতে আবার পেটাতে দেখে আমি আটকাতে যাই। তখন উনি আমাকে মারধর করতে থাকেন। আমি অজ্ঞান হয়ে যাই।” হাসপাতালে তাঁর জ্ঞান ফেরে। এখানেই তিনি জানতে পারেন মারের চোটে তাঁর শাশুড়ির মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের দাবি, শিবনাথ তাদের কাছে মাকে খুনের কথা কবুল করেছে। সে জানিয়েছে, রাগের মাথায় মারধর করে। কিন্তু খুন হয়ে যাবে তা ভাবতে সে পারেনি। শুক্রবার শিবনাথকে পুরুলিয়া আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy