হিড়বাঁধের মলিয়ানের পরে সোনামুখীর মানিকবাজার গ্রাম পঞ্চায়েত। আইন-শৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কার পুলিশি রিপোর্ট পেয়ে এ বার সোনামুখী ব্লকের মানিকবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতে উপ প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থার তলবি সভা স্থগিত রাখল প্রশাসন। ক্ষোভে অনাস্থার পক্ষের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা পঞ্চায়েতের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেন। ভিতরে আটকে পড়েন পঞ্চায়েত কর্মীরা।
শুক্রবার ওই পঞ্চায়েতে সভা হওয়ার কথা ছিল। একই কারণ দেখিয়ে বৃহস্পতিবার মলিয়ান পঞ্চায়েতেও প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থার তলবি সভা স্থগিত করে দেয় প্রশাসন। সোনামুখীর বিডিও বিশ্বজিত্ ভট্টাচার্য বলেন, “সম্প্রতি ওই পঞ্চায়েতের উপ-প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন তিন সদস্য। এ দিন ভোটাভুটির কথা ছিল। কিন্তু পুলিশ রিপোর্টে গণ্ডগোলের সম্ভাবনার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে। তাই জেলাশাসকের নির্দেশে এই সভা স্থগিত রাখা হয়েছে।” তিনি জানান, পরে সভার নতুন দিন ধার্য করে সদস্যদের জানিয়ে দেওয়া হবে।
সাত আসনের এই পঞ্চায়েতে প্রথমে তৃণমূল ছিল ৪, বামফ্রন্ট ৩। পরে সব বাম সদস্যই তৃণমূলে যোগ দেন। সকলের সঙ্গে মানিয়ে না চলতে পারার অজুহাত তুলে উপ-প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন ৩ সদস্য। এ দিন তলবি সভা না হওয়ার প্রতিবাদে কিছুক্ষণ পঞ্চায়েত কর্মীদের তালা বন্ধ করে রাখেন অনাস্থার পক্ষের কিছু কর্মী-সমর্থক। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে তালা খোলা হয়।
ঘটনাটিকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে মন্তব্য করে সিপিএমের সোনামুখী জোনাল কমিটির সম্পাদক শেখর ভট্টাচার্য বলেন, “এটা স্পষ্টত তৃণমূলের সুরজিত্ মুখোপাধ্যায় বনাম দিপালি সাহার গোষ্ঠী লড়াই। তার জেরেই এলাকায় অশান্তিুর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।” যদিও এ বিষয়ে সুরজিত্বাবু বা দিপালিদেবী কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি অরূপ খাঁ গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করে বলেন, “এর মধ্যে কোনও গোষ্ঠিবাজির গল্প নেই। প্রশাসনের নির্দেশেই এই স্থগিতাদেশ।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy