দাবি মেনে অবশেষে সেচ কলোনির মধ্য দিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের যাতায়াতের ছাড়পত্র দিল প্রশাসন। যত দিন না ভেঙে যাওয়া শ্যামবাটি সেতু মেরামত হচ্ছে ততদিন সেচ কলোনির ওই পথ দিয়ে মানুষজন যেতে পারবেন। তবে কিছু শর্ত রয়েছে। সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পথ চলতি মানুষ, সাইকেল, রিকশা এবং মোটরবাইক ছাড়া অন্য কোন যানবাহন ওই রাস্তায় দিয়ে যেতে পারবে না। স্থানীয় পঞ্চায়েতের উদ্যোগে দু’বেলার জন্য চারজন পাহারাদার থাকবেন।
সেচ দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র (ময়ূরাক্ষী দক্ষিণ) সঞ্জয় সিংহ বলেন, “স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং বাসিন্দারা সেচ কলোনির মধ্যদিয়ে অস্থায়ী ভাবে আসা-যাওয়া করার আর্জি জানিয়েছিলেন। তাদের আর্জি মেনে দফতরের কলোনির রাস্তা খোলা হয়েছে। অস্থায়ী ভাবে ওই রাস্তা ব্যবহারের জন্য বলা হয়েছে। ওই রাস্তা দিয়ে চার চাকার এবং ভারী যানবাহন চলাচল আটকাতে স্থানীয় পঞ্চায়েতের উদ্যোগে নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
শান্তিনিকেতন লাগোয়া শ্যামবাটিতে সেচ দফতরের স্লুইস গেট থাকা সেতুটি ভেঙে গিয়েছে। ফলে একটা বিস্তীর্ণ অঞ্চলের সঙ্গে শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা একরকম বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। স্থানীয় এবং ওই রাস্তার ওপর নির্ভরশীলদের ঘুরপথে প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তা পার হতে হচ্ছে। এর পরেই ওই সেতু লাগোয়া শ্যামবাটিতে অবস্থিত সেচ দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়রের দফতর এবং লাগোয়া কলোনির রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের আর্জি জানান। সঙ্কীর্ণ ওই রাস্তায় সাইকেল, রিকশা এবং দু’চাকার গাড়ি চলাচল করতে পারে। সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে স্থানীয় রূপপুর পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ওই আর্জি জানানো হয়। পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ইন্দ্রজিৎ মিত্র বলেন, “সেচ কলোনি লাগোয়া রাস্তা অস্থায়ী ভাবে ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছেন বাসিন্দারা। চার চাকা এবং ভারী যানবাহন যাতে ওই রাস্তায় না যায়, নজরদারির জন্য পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে দু’বেলা চার জন লোক মোতয়েন করা হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy