ডিভিসি-র তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের রেল করিডর তৈরির বরাতপ্রাপ্ত ঠিকাদারি সংস্থার প্রজেক্ট অফিসের সামনে বিক্ষোভ-অবস্থানে বসল স্থানীয় একটি নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহকারী সংগঠন। রেল করিডরের কাজে নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে স্থানীয় যুবক ও জমিহারাদের, এই অভিযোগ তুলে সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ‘রঘুনাথপুর সাপ্লায়ারস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’ নামের ওই সংগঠনের জনা পঞ্চাশেক সদস্য অবস্থানে বসেছিলেন।পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবস্থান তুলে নেয় সংগঠনটি।
রঘুনাথপুরে ডিভিসির নির্মীয়মাণ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের রেল করিডর নির্মাণের বরাত পেয়েছে সরকারি সংস্থা ‘রাইটস’। তারা আবার বরাত দিয়েছে একটি বেসরকারি ঠিকা সংস্থাকে। স্থানীয় নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহকারী সংগঠনটির অভিযোগ, আশ্বাস দেওয়ার পরেও ওই ঠিকা সংস্থাটি তাদের পরিবর্তে বাইরে থেকে নির্মাণ সামগ্রী নিচ্ছে। এই বিষয়ে আগে প্রশাসনের উপস্থিতিতে বৈঠক হলেও সে সিদ্ধান্ত মানছে না সংস্থাটি। বিক্ষোভকারী সংগঠনটির সম্পাদক সুভাষ বাউরির অভিযোগ, “এলাকায় সে ভাবে কারখানা গড়ে উঠছে না। একমাত্র ভরসা ডিভিসি-র এই বিদ্যুৎকেন্দ্র। আমাদের মতো জমিহারা ও স্থানীয় বেকার যুবকেরা ওই প্রকল্পে নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহ করার জন্য এই সংগঠন গড়ে কাজ করছি। কিন্তু বেসরকারি সংস্থাটি আমাদের বঞ্চিত করে বাইরে থেকে উপকরণ নিচ্ছে। তার ফলে, আমরা আর্থিক সংস্থান করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।” এ দিন রঘুনাপুর শহরের অদূরে চিনপিনা গ্রামের কাছে ওই সংস্থাটির প্রজেক্ট অফিসের গেট আটকে বিক্ষোভ হওয়ায় কাজ বন্ধ হয়ে যায় বলে দাবি করেছেন ঠিকা সংস্থাটির আধিকারিক অশোক অগ্রবাল। তাঁর বক্তব্য, “স্থানীয় এই সংগঠনটির অভিযোগ ঠিক নয়। আমরা ওদের কাছ থেকেই নির্মাণ সামগ্রী নিচ্ছিলাম। কিন্তু, ওরা নিত্যদিন শর্ত পরিবর্তন করছে। এমনকী, ওই সংগঠনের কাছ থেকেই প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের বেশির ভাগটাই নেওয়ার দাবি তুলছে। এই অবস্থায় পুরো বিষয়টি সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।” পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন দু’তরফের সঙ্গে কথা বলে ঠিক হয়েছে, চলতি সপ্তাহের মধ্যেই প্রশাসনের উপস্থিতিতে আলোচনায় বসে সমাধানসূত্র বের করা হবে।
রঘুনাথপুর মহকুমা প্রশাসনের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট অজয় সেনগুপ্ত জানান, এর আগে ‘রাইটস’-এর উপস্থিতিতে ওই বেসরকারি ঠিকা সংস্থা এবং স্থানীয় সংগঠনটিকে ডেকে নিজেদের মধ্যে সমস্যা মিটিয়ে নিতে বলেছিল প্রশাসন। নতুন করে যদি কোনও সমস্যা দেখা দেয়, তা হলে ফের তাদের নিয়ে আলোচনায় বসা হবে বলে তাঁর আশ্বাস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy