Advertisement
E-Paper

রেললাইনে তিন ছাত্রছাত্রীর দেহ

রেল লাইন থেকে উদ্ধার হল একই এলাকার দুই ছাত্রছাত্রীর দেহ। যার মধ্যে একজন এ বারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ও অন্য জন দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। বৃহস্পতিবার সকালে বাঁকুড়া শহরের ভৈরবস্থান এলাকার ঘটনা। জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতা শ্রেয়সী তা (১৬) বাঁকুড়া মিশন গার্লস স্কুলের ছাত্রী।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৪ ০১:০৯

রেল লাইন থেকে উদ্ধার হল একই এলাকার দুই ছাত্রছাত্রীর দেহ। যার মধ্যে একজন এ বারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ও অন্য জন দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। বৃহস্পতিবার সকালে বাঁকুড়া শহরের ভৈরবস্থান এলাকার ঘটনা। জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতা শ্রেয়সী তা (১৬) বাঁকুড়া মিশন গার্লস স্কুলের ছাত্রী। সে এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। শ্রেয়সীর কাছাকাছি এলাকায় রেললাইনেই পড়েছিল শুভদীপ দত্ত (১৮) নামের বাঁকুড়া বঙ্গ বিদ্যালয়ের এক স্কুলছাত্রের দেহ। দু’জনেই বাঁকুড়ার যোগেশপল্লি এলাকার বাসিন্দা।

এ দিনই ওন্দা থানার কালীসেন সংলগ্ন এলাকায় রেললাইনে আরও এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর দেহ মিলেছে। জিআরপি জানিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম চণ্ডীচরণ মণ্ডল (১৬)। ওন্দা থানার চণ্ডীপুর এলাকায় তার বাড়ি। সে ওন্দা হাইস্কুলে পড়ত। মাধ্যমিকের ফল জানতে গিয়ে সে আর বাড়ি ফেরেনি। দুপুরে রেললাইন থেকে তার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে জি আরপি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই বাঁকুড়া শহরের যোগেশপল্লির ওই দুই ছাত্রছাত্রী নিখোঁজ ছিল। সেই রাতেই শ্রেয়সীর বাড়ির লোকজন বাঁকুড়া সদর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এ দিন সকালে ভৈরবস্থান এলাকা সংলগ্ন রেললাইনের উপরে দু’জনের ছিন্ন ভিন্ন দেহ উদ্ধার হয়। খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকের পরিবেশ নেমে আসে যোগেশপল্লি এলাকায়। শ্রেয়সী ও শুভদীপের পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহগুলি শনাক্ত করেন। ভিড় করেন বাসিন্দারাও।

শ্রেয়সীর বাবা শৈলেন তা প্রাক্তন সেনা কর্মী। শুভদীপের বাবা স্বরূপ দত্ত পেশায় ঠিকাদার। শোকে মুহ্যমান মৃত পড়ুয়াদের পরিবারের লোকজন এই ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। যোগেশপল্লির বাসিন্দা চন্দ্রশেখর গণ বলেন, “ভাবতেই পারছি না। দু’টি কমবয়সি ছেলে মেয়ে এ ভাবে চলে যেতে পারে!” মৃত্যুর কারণ ি নয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। এলাকা ছাড়িয়ে শোকের ছায়া নেমেছে শ্রেয়সীর স্কুলেও। এ দিন মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরে অভিভাবক ও স্কুলের শিক্ষিকাদের আলোচনায় বারবার উঠে এসেছে শ্রেয়সীর নাম। তার বান্ধবীরাও ঘটনার কথা শুনে স্তম্ভিত। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রেয়সী মাধ্যমিকে ২৮৬ নম্বর পেয়ে পাশ করেছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অবিজিতা চৌধুরীর কথায়, “ছোট থেকে শ্রেয়সীকে দেখছি। কেন এই পদক্ষেপ নিল কিছুই বুঝতে পারছি না। ওর পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা রইল।” প্রাথমিক ভাবে জিআরপি-র অনুমান, তিন জনের মৃত্যুর ঘটনাই আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন জিআরপি এক আধিকারিক।

railtrack dead body of students bankura
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy