Advertisement
E-Paper

লজের ঘরে দেহ মা আর ছেলের

লজের বন্ধ ঘর থেকে মা ও ছেলের দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। বুধবার বোলপুর শহরের চিত্রা মোড়ের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম কল্যাণী দত্ত (৪৮) এবং সুভাষ দত্ত ওরফে শুভ (২৫)। তাঁদের বাড়ি কলকাতার কসবা এলাকার ভেদিয়াডাঙ্গার চার নম্বর লেন। বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার মুকেশকুমার জানান, সম্পর্কে ওঁরা মা-ছেলে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৫ ০০:৪৮

লজের বন্ধ ঘর থেকে মা ও ছেলের দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। বুধবার বোলপুর শহরের চিত্রা মোড়ের ঘটনা।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম কল্যাণী দত্ত (৪৮) এবং সুভাষ দত্ত ওরফে শুভ (২৫)। তাঁদের বাড়ি কলকাতার কসবা এলাকার ভেদিয়াডাঙ্গার চার নম্বর লেন। বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার মুকেশকুমার জানান, সম্পর্কে ওঁরা মা-ছেলে। তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মাকে খুন করে ছেলে আত্মঘাতী হয়েছেন। কিন্তু, কেন এই ঘটনা, সে ব্যাপারে পুলিশ এখনও অন্ধকারে। কলকাতায়, তাঁদের কোনও আত্মীয় আছেন কি না, তা পুলিশ জানার চেষ্টা চালাচ্ছে। দুপুরে তাঁদের নিথর দেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বোলপুর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে মেলা সচিত্র ভোটারকার্ড থেকে দু’জনের পরিচয় জানা গিয়েছে বলে পুলিশের দাবি।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে মা ও ছেলে শহরের চিত্রা মোড়ের ওই লজটিতে উঠেছিলেন। তাঁদের এক দিনের বুকিং ছিল। মঙ্গলবার দুপুর বারোটা নাগাদ চেক আউট করে তাঁরা চলে যান। ঘণ্টাখানেক পরে ফের দু’জনে লজে ফিরে আসেন এবং আরও এক দিনের জন্য ঘর বুক করেন। কথা ছিল, বুধবার বারোটা নাগাদ তাঁরা লজ ছেড়ে দেবেন। এ দিন বেলা সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত তাঁদের কোড়ও সাড়াশব্দ না মেলায় লজকর্মীদের সন্দেহ হয়। দরজায় অনেকবার ধাক্কা দিয়ে এবং বহু ডাকাডাকির পরেও ওই ১২ নম্বর ঘর থেকে মা ও ছেলের কোনও সাড়া পাননি। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

বোলপুর থানার আইসি দেবকুমার রায় এবং টাউন দারোগা রতন সেন বেলা বারোটা নাগাদ হোটেলে আসেন। পুলিশ দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখে, খাটের উপর পড়ে রয়েছে কল্যাণী দেবীর দেহ। সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে সুভাষের দেহ। পুলিশের একটি সূত্রের খবর, যুবকের বাঁ হাতে ব্লেড বা ওই জাতীয় কিছু দিয়ে কাটার চিহ্ন রয়েছে। ওই লজ সূত্রের খবর, মা ও ছেলের আচরণে কোনও অস্বাভাবিকতা লজের কর্মীদের কেউ লক্ষ করেনি। লজের এক কর্মী বলেন, “বসন্ত উত্‌সবের জন্য লজের সব ঘর বুকিং থাকার কথা এবং বারোটার মধ্যে ওদের দু’জনকে চেক আউট করার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তখন বলেছিলেন, ট্রেনের টিকিট না পাওয়ায় ফের তাঁরা ফিরে এসেছেন। সেই সময় ওদের কথাবার্তায় সন্দেহজনক কিছু মনে হয়নি। এ দিন অনেক বেলা পর্যন্ত ওই ঘর থেকে সাড়াশব্দ না পাওয়ায় খটকা লাগে। পুলিশ এসে দরজা ভাঙতে দেখি ওই কাণ্ড!”

bolpur lodge mother –son dead body kasba
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy