এক বিরোধী দল শিল্পায়নের দাবিতে করল অবস্থান-বিক্ষোভ। আর অন্য দল এলাকার সার্বিক উন্নয়নের দাবিতে দিল স্মারকলিপি। বুধবার রঘুনাথপুরে এই দুই পৃথক কর্মসূচি ছিল সিপিএম এবং বিজেপি-র।
রঘুনাথপুরে শিল্পায়নের নামে ভাঁওতা নয়, প্রকৃত অর্থে শিল্পায়ন করে কর্মসংস্থান বাড়ানো-সহ কিছু দাবিতে এ দিন শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান করে সিপিএম। দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত এই অবস্থানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ বাসুদেব আচারিয়া-সহ দলের নেতা ও শতাধিক কর্মী-সমর্থক। বিক্ষোভ-অবস্থানে সিপিএমের তরফে অভিযোগ করা হয়, বাম আমলে শিলান্যাস হওয়া শিল্পসংস্থাগুলি তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের ভ্রান্ত শিল্পনীতির কারণে বর্তমানে রঘুনাথপুরে কারখানা গড়তে উত্সাহ হারিয়েছে। সিপিএমের পুরুলিয়া জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য প্রদীপ রায়ের দাবি, “বামফ্রন্ট সরকারের সময়েই রঘুনাথপুরে ডিভিসি-র তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্র গড়ার প্রয়োজনীয় জমির বেশির ভাগ অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছিল। অথচ তৃণমূলের সরকার গত তিন বছরে বাকি জমি দিতে পারছে না এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটিকে। যার কারণে প্রকল্প নির্মাণে প্রতিপদে সমস্যায় ভুগছে ডিভিসি।”
বিজেপি-র আবার দাবি, রঘুনাথপুরের রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য পরিষেবা-সহ সার্বিক উন্নয়ন। এ দিন রঘুনাথপুর ২ বিডিও-র কাছে নয় দফা দাবিতে এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। বিডিও উত্পলকুমার ঘোষ জানান, স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা দাবিগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বস্তুত, এই প্রথম রঘুনাথপুর ২ ব্লকে বড় মাপের কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। পাঁচশোরও বেশি দলীয় কর্মী-সমর্থক ব্লক সদর চেলিয়ামায় মিছিল করেন। দুপুরে ব্লক অফিসের সামনে অবস্থানও করেন তাঁরা।
ব্লকের বিজেপি সভাপতি শ্রীনিবাস গরাইয়ের অভিযোগ, চেলিয়ামা থেকে রঘুনাথপুর যাওয়ার রাস্তা-সহ ব্লকের অন্য বহু রাস্তা বেহাল হয়ে রয়েছে, পর্যাপ্ত সংখ্যায় চিকিত্সক না থাকায় বান্দা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে পরিষেবা পেতে সমস্যায় পড়ছেন এলাকার বসিন্দারা। শ্রীনিবাসবাবু বলেন, “ব্লকের রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, স্বাস্থ্য পরিষেবার মান বৃদ্ধি এবং এলাকার কিছু গ্রামে পানীয় জল সরবরাহের দাবি আমরা ব্লক প্রশাসনের কাছে জানিয়েছি।”
অন্য দিকে, উত্তরবঙ্গের ধূপগুড়িতে সালিশি সভার পরে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে এ দিনই বিকালে পুরুলিয়া শহরে ধিক্কার মিছিল করে সিপিএম। দলের জোনাল অফিস থেকে মিছিল বেরিয়ে শহর পরিক্রমা করে। পরে ধিক্কার সভা হয় শহরের ট্যাক্সিস্ট্যান্ড এলাকায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy