সেতুর পাশাপাশি পূর্ত দফতরের অধীনে ২১,৩৬৯ কিলোমিটার রাস্তা আছে। —ফাইল চিত্র।
সব সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং ক্ষতিগ্রস্ত সব রাস্তা মেরামতির নির্দেশ দিল পূর্ত দফতর। সেই কাজ শেষ করে জেলাভিত্তিক রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনের খবর। প্রসঙ্গত, মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ার পরেই রাজ্যের সব সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যাপারে তৎপর হয়েছিল প্রশাসন। পূর্ত দফতরের খবর, অধিকাংশ সেতুর বয়স হওয়ায় স্বাস্থ্য যাচাই করা জরুরি। সেই পরীক্ষা করে যানবাহনের চাপে এবং বর্ষায় কী ক্ষতি হয়েছে তা বোঝা যাবে এবং সেই মতো সংস্কারের পরিকল্পনা করা সম্ভব। রাজ্যে এই দফতরের অধীনে প্রায় ২৪০০ সেতু আছে।
সেতুর পাশাপাশি পূর্ত দফতরের অধীনে ২১,৩৬৯ কিলোমিটার রাস্তা আছে। তার মধ্যে যেমন রাজ্য সড়ক আছে, তেমনই জেলা এবং গ্রামীণ কিছু রাস্তাও রয়েছে। বর্ষায় সেগুলির জায়গায় জায়গায় ক্ষত তৈরি হয়েছে। তার ফলে যান চলাচলের সমস্যা যেমন হচ্ছে তেমনই বাড়ছে দুর্ঘটনার শঙ্কা। দ্রুত সেই ক্ষত মেরামতের জন্য জেলাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুজোর আগে ক্ষতে যত দূর প্রলেপ দেওয়া সম্ভব, তা দিতে বলা হয়েছে।
পূর্ত-কর্তারা জানাচ্ছেন, রাজ্য সড়কের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা পুরনো দিল্লি রোড। ডানকুনি থেকে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের সমান্তরালে যাওয়া ওই সড়কের অনেকটাই বেহাল। সেই রাস্তা মেতামতের কাজও দ্রুত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়। দফতরের কর্তাদের একাংশের দাবি, রাস্তার যে বেহাল ছবি এখন ধরা পড়ছে, তার সব তাদের অধীনে নয়। এমন বহু রাস্তা রয়েছে, যেগুলি পুরসভা, পুরনিগম বা পঞ্চায়েতের অধীনে। আর্থিক কারণেও অনেক জায়গায় প্রয়োজনীয় মেরামতি করতে পারছে না স্থানীয় প্রশাসন। কিছু ক্ষেত্রে সেই কাজ পূর্ত দফতর করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy