প্রতীকী ছবি।
জেলাগুলিতে যানবাহনের চাপ বাড়ছে। বছর ২০-৩০ আগে যে সংখ্যক গাড়ি চলাচল করবে ধরে নিয়ে রাস্তাগুলি তৈরি হয়েছিল, এখন কোথাও তার দ্বিগুণ, কোথাও বা আরও বেশি গাড়ি চলে। তাই যানজট এড়াতে রাস্তা চওড়া করা আবশ্যিক হয়ে পড়েছে। সেই কারণে সম্প্রতি নবান্নে সিদ্ধান্ত হয়েছে, জেলা সদর থেকে মহকুমা সদর পর্যন্ত পূর্ত দফতরের অধীনে থাকা সমস্ত রাস্তা দু’লেন করা হবে।
নবান্ন সূত্রের খবর, কোন জেলায় এমন কত রাস্তা রয়েছে এবং তার পরিমাণ কত, সেই হিসেবনিকেশ শুরু করেছে পূর্ত দফতর। ওই রাস্তাগুলিকে দু’লেন অর্থাৎ সাত মিটার চওড়া করতে গেলে কত কিলোমিটার বাড়তি তৈরি করতে হবে, সেই তালিকা তৈরি হচ্ছে। আগামী বছরের গোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রাজ্য প্রশাসন চাইছে, তার আগেই রাস্তা চওড়া করার কাজে হাত দিক পূর্ত দফতর।
বছর তিনেক আগে রাজ্য সড়কগুলিকে শক্তিশালী ও চওড়া করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পূর্ত দফতর। দীর্ঘমেয়াদী রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সেই রাস্তায় টোল আদায়েরও কথা ছিল। কিন্তু প্রকল্পের প্রাথমিক রূপরেখা তৈরি করতে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার দু’পাশে পূর্ত দফতরের হাতে থাকা জমির বাইরেও রায়তি জমি অধিগ্রহণ করতে হবে সরকারকে। কার্যত সেই কারণেই ওই প্রকল্প থেকে পিছিয়ে আসে পূর্ত দফতর। নবান্নের এক কর্তা বলেন, ‘‘জেলা সদর থেকে মহকুমা সদর পর্যন্ত রাস্তা তৈরির জন্য পূর্ত দফতরকে কোনও জমি অধিগ্রহণ করতে হবে না। রাজ্য সড়কের পাশে পূর্ত দফতরের নিজস্ব যে জমি রয়েছে তাতেই হবে।’’ তবে বছরের পর বছর ওই জমি পড়ে থাকার ফলে বহু এলাকা জবরদখল হয়ে গিয়েছে। রাস্তা চওড়া করার স্বার্থে ওই বেআইনি দখলদার সরিয়ে দেওয়া হবে।
প্রথম দফায় বিভিন্ন জেলার ৫২টি রাস্তাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রায় ৫০০ কিলোমিটার রাস্তা সাত মিটার চওড়া করা হবে। খরচ পড়বে মোটামুটি দু’ হাজার কোটি টাকা। পূর্ত দফতরের এক কর্তা জানান, জেলা থেকে মহকুমা রাস্তা চওড়া করার কাজ শেষ হলে দ্বিতীয় দফায় মহকুমা থেকে ব্লক অফিসে যাওয়ার রাস্তাগুলিকে চওড়া করার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার।
পূর্ত দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘জেলা পরিষদগুলির হাতে বহু রাস্তা থাকলেও সেগুলির উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণ হয় না। জেলা পরিষদগুলির বক্তব্য, অর্থাভাবে এত রাস্তা দেখভাল করা সম্ভব নয়। তাই সম্প্রতি জেলা পরিষদগুলি ২০৯টি রাস্তা পূর্ত দফতরের হাতে তুলে দিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy