সাদামাঠা দোতলা বাড়ি। বাইরে দেওয়াল জোড়া সাইনবোর্ড। তাতে ভারী ডিগ্রির নামী চিকিৎসকদের তালিকা। সাইনবোর্ডে ফলাও ঘোষণা— ‘ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণ আইনত দণ্ডনীয়। এই নার্সিংহোমে ভ্রণের লিঙ্গ নির্ধারণ হয় না’।
কিন্তু সেই তালিকায় কোথাও নাম নেই মনোজ বিশ্বাসের। অথচ, শিশু বিক্রির তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, অশোকনগরের ‘বনানী’ নামে ওই নার্সিংহোমের একমাত্র চিকিৎসক ছিলেন হাতুড়ে মনোজই। গর্ভপাত আর সন্তান প্রসব ছাড়া ‘বনানী’তে আর কোনও চিকিৎসাই হত না। চলত ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণ। ‘বনানী’র অনুমোদনও ছিল না।
ওই নার্সিংহোমের আড়ালে শিশু বিক্রির কারবার ফেঁদে বসার অভিযোগে শুক্রবার পুলিশ মনোজকে তো গ্রেফতার করেছেই, ধরা হয়েছে আরও চার জনকে। তাদের মধ্যে রয়েছে নার্সিংহোমের মালিক রঞ্জিতা রায়, কেয়ারটেকার রঞ্জিৎ দে এবং স্থানীয় দম্পতি গৌতম ও দীপা চন্দ। ‘বনানী’ থেকে ওই দম্পতির কেনা একটি শিশুর অসুস্থ হয়ে পড়ার জেরেই গোটা বিষয়টি সামনে আসে। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, ‘বনানী’র সাইনবোর্ডে যে চিকিৎসকদের নাম রয়েছে, তাঁদের খুঁজে হাবড়া থানায় দেখা করার নোটিস পাঠানো হচ্ছে। তদন্তে নেমেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগও।