E-Paper

দুই পদাধিকারীকে নিয়ে প্রশ্ন দলে

শুভদীপ উত্তরপাড়া শহর যুব তৃণমূলেরও সভাপতি। তিনি দলের ছাত্র সংগঠনের ওই পদে বসতেই সামাজিক মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে শান্তনুর ছবি ছড়িয়ে গিয়েছে। আনন্দবাজার ওই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি।

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় 

শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৩ ০৭:০০
Kuntal Ghosh and Shantanu Banerjee

কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে হুগলিতে তৃণমূলের অস্বস্তি কাটেনি। ফাইল চিত্র।

নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত যুব নেতা কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে দল থেকে বহিষ্কার করা হলেও তাঁদের নিয়ে হুগলিতে তৃণমূলের অস্বস্তি কাটেনি। তার মধ্যেই জেলায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) সদ্যনিযুক্ত দুই পদাধিকারীকে নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন জেলা নেতৃত্বের একাংশ।

সোমবার টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি, সহ-সভাপতিদের নাম ঘোষণা করা হয়। হুগলি-শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলায় টিএমসিপি-র নতুন সভাপতি হয়েছেন শুভদীপ মুখোপাধ্যায়। সহ-সভাপতি হরিপালের আশুতোষ পঞ্চায়েতের প্রধান সুমিত সরকার।

শুভদীপ উত্তরপাড়া শহর যুব তৃণমূলেরও সভাপতি। তিনি দলের ছাত্র সংগঠনের ওই পদে বসতেই সামাজিক মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে শান্তনুর ছবি ছড়িয়ে গিয়েছে। আনন্দবাজার ওই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি। তবে, জেলা তৃণমূল নেতাদের একাংশ মানছেন, জেলায় তাঁদের নিজস্ব হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও ওই ছবি চালাচালি হচ্ছে। সম্প্রতি উত্তরপাড়ার রাজা প্যারীমোহন কলেজের সোশ্যালে খরচ হওয়া বিপুল অর্থের উৎস নিয়ে তদন্তের দাবিও উঠেছে।

দলের এক জেলা নেতা বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলের ছাত্র সংগঠনে আরও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কাউকে দায়িত্বে আনলে মনে হয় ভাল হত।’’ শুভদীপের বক্তব্য, ‘‘উনি (শান্তনু) যখন দলের পদে ছিলেন, সেই সময়ে আমার সঙ্গে তাঁর ছবি সমাজমাধ্যমে কেউ দিয়েছেন। ভাবমূর্তির ব্যাপারে আমি সতর্ক। খারাপ কাজ করিনি। ভবিষ্যতেও করব না। কলেজের যে সোশ্যালের কথা বলা হচ্ছে, কলেজ কর্তৃপক্ষই সেই খরচ জুগিয়েছেন।’’ দলের এক নেতা জানান, টিএমসিপি-র সভাপতি হওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী যুব সংগঠনের পদ থেকে শুভদীপকে সরতে হবে।

সুমিতের ভাবমূর্তি নিয়ে বারে বারেই প্রশ্ন উঠেছে। আমপান ঝড়ে আশুতোষ পঞ্চায়েত এলাকার হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতাল চত্বরে পড়ে যাওয়া গাছ বিক্রি করা নিয়ে বন দফতর ও জেলা প্রশাসনে তাঁর নামে অভিযোগ যায়। দলেরই সেই সময়ের এক জেলা পরিষদের সদস্যা ও তাঁর স্বামী অভিযোগ করায় সুমিত দলবল নিয়ে চড়াও হন বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার জেরে সম্প্রতি সুমিতের বিরুদ্ধে ফের ওই সদস্যার বাড়িতে চড়াও হয়ে গালিগালাজের অভিযোগ থানা-পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। তিনি টিএমসিপি-র জেলার সহ-সভাপতি হওয়ায় দলের অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন।

মঙ্গলবার ফোনে সুমিত বলেন, ‘‘আমাকে নিয়ে দলের কোনও গ্রুপে কি কিছু ভাইরাল হয়েছে? জানা নেই।’’ এর পরেই ফোন কেটে যায়। আর ধরেননি। বিতর্ক প্রসঙ্গে দলের বর্ষীয়ান বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তি ও আদর্শকে মেনে দল করি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। ’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Recruitment Scam TMC

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy