আগেই প্রশ্ন উঠেছিল জেলা কমিটির অন্দরে। এ বার সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্মেলনে প্রশ্ন উঠল ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) সঙ্গে সমঝোতা নিয়ে।
বারাসতে শুক্রবার থেকে চলছে সিপিএমের ২৬তম উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্মেলন। তার দ্বিতীয় দিন ছিল শনিবার। দলীয় সূত্রের খবর, দু’দিনই জেলার বিভিন্ন অংশের একাধিক প্রতিনিধি আইএসএফ প্রসঙ্গে দলের অবস্থান নিয়ে সরব হয়েছেন। তাঁদের মূল বক্তব্য, গত লোকসভা নির্বাচনে নওসাদ সিদ্দিকীর দল নানা কথা বলেও শেষ পর্যন্ত বামেদের সঙ্গে সমঝোতায় আসেনি। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নিজে আগাম ঘোষণা করেও প্রার্থী হননি নওসাদ। অথচ, তার এক মাসের মধ্যে হাড়োয়া বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে সিপিএম সেই আইএসএফকে আসন ছেড়ে দিয়েছে। দলের ওই অংশের আরও বক্তব্য, গত বিধানসভা এবং পঞ্চায়েত ভোটে দেখা গিয়েছে, জেলার সংখ্যালঘু অধ্যুষিত অংশে বামেদের জমি অনেকটাই চলে গিয়েছে আইএসএফের দিকে। তার পরেও, আইএসএফ সম্পর্কে নির্দিষ্ট অবস্থান দল কেন নিচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে বক্তৃতা করেছেন স্বয়ং দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি অবশ্য ফের ব্যাখ্যা করে বলেছেন, বিজেপি এবং তৃণমূলকে হারানোর জন্য সিপিএম বৃহত্তর গণতান্ত্রিক ঐক্যের কথা বলছে। সেই নীতি মেনেই নির্বাচনী কৌশলও ঠিক হয়েছে।

সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্মেলনে সংবর্ধনা দেওয়া হল প্রাক্তন জেলা সম্পাদক গৌতম দেবকে। —নিজস্ব চিত্র।
সম্মেলনের শেষ দিন, আজ, রবিবার নতুন জেলা কমিটি তৈরি হবে। সম্মেলনে দলের মধ্যে থেকে জেলা সম্পাদক বদলের দাবি ওঠায় বারাসতে উপস্থিত সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব সেই বিষয়টি নিয়ে জেলা নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন।