পশ্চিমবঙ্গে অনগ্রসর শ্রেণি হিসেবে মুসলিমদের সংরক্ষণের পদ্ধতি আইনি ভাবে বৈধ নয় বলে দাবি উঠেছে রাজ্যে। এ ব্যাপারে কলকাতা হাই কোর্টে মামলাও চলছে। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলায় মঙ্গলবার নিজেদের বক্তব্যের পক্ষে একগুচ্ছ যুক্তি দিলেন মামলাকারী অমলচন্দ্র দাসের আইনজীবীরা। তাঁদের বক্তব্য শোনার পরে কোর্ট জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে ফের এই মামলার শুনানি হবে।
এ দিন মামলাকারীর আইনজীবী গুরু কৃষ্ণকুমার, বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায়, সুদীপ্ত দাশগুপ্ত, দেবযানী রায় তাঁদের সওয়ালে জানান, কীসের ভিত্তিতে মুসলিমদের ৪১টি গোষ্ঠীকে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি-এ) ভিত্তিতে আনা হল তা স্পষ্ট নয়। সাধারণত, এ ক্ষেত্রে সামাজিক, শিক্ষাগত অথবা অর্থনৈতিক অবস্থা বিচার করা হয়। কিন্তু সে সব বিচার না করেই ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে’ মর্জিমাফিক সংরক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
আদালতের খবর, ২০১০ সালে ‘ওবিসি’ গোত্রের মধ্যে দু’টি ভাগ করা হয় এবং তাতে ‘এ’ গোত্রের মধ্যে তুলনায় বেশি পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীকে রাখা হয়। নির্দেশিকা প্রকাশের ৬ মাসের মধ্যে রাজ্যের ৪২টি মুসলিম গোষ্ঠীর মধ্যে ৪১টিকে ‘ওবিসি-এ’ গোত্রের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আইনজীবীদের একাংশের মতে, এর আগে নৃতাত্ত্বিক সমীক্ষা প্রয়োজন। তা ছাড়া, বিরোধী মত থাকলে তা নিয়েও শুনানি করতে হয়।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)