Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

প্রচারে মালবাহী কামরায় রবীন্দ্রজয়ন্তী

পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সচেতনতার প্রসারে এগিয়ে এল উত্তর কলকাতার একটি সংগঠন। ঝাঁটা হাতে চিরাচরিত সাফাই অভিযানে শামিল না হয়ে বরং রবিবারের সকালটা অন্য ভাবে দেখালেন সংগঠনের সদস্যেরা। চলন্ত ট্রেনের মালবাহী কামরায় রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করলেন তাঁরা।

বনগাঁ লোকালে চলছে অনুষ্ঠান। রবিবার। নিজস্ব চিত্র

বনগাঁ লোকালে চলছে অনুষ্ঠান। রবিবার। নিজস্ব চিত্র

নীলোৎপল বিশ্বাস
শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০১৮ ০১:৩৬
Share: Save:

প্রবল ভিড়ে বড় ভরসা লোকাল ট্রেনের ওই কামরা। বাকি সময়ে তার ধারকাছে ঘেঁষতে চান না প্রায় কোনও যাত্রীই। সুযোগ থাকলে এড়িয়ে যাওয়া হয় তার দু’ধারের কামরাও। কারণ দুর্গন্ধ। নিত্যযাত্রীদের অনেকেরই অভিযোগ, লোকাল ট্রেনের মালবাহী কামরার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিয়ে। সে দিকে রেলের নজর নেই বলেই অভিযোগ তাঁদের। এ বার তাই এর পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সচেতনতার প্রসারে এগিয়ে এল উত্তর কলকাতার একটি সংগঠন। ঝাঁটা হাতে চিরাচরিত সাফাই অভিযানে শামিল না হয়ে বরং রবিবারের সকালটা অন্য ভাবে দেখালেন সংগঠনের সদস্যেরা। চলন্ত ট্রেনের মালবাহী কামরায় রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করলেন তাঁরা।

এ দিন সকাল ৯টায় বনগাঁ থেকে শিয়ালদহগামী লোকালে ওঠেন ওই সংগঠনের সদস্যেরা। মালবাহী কামরায় বক্স লাগিয়ে, ব্যানার টাঙিয়ে শুরু হয় রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন। কামরার পরিচ্ছন্নতার পক্ষেও চলে প্রচার। সদস্যেরা জানাচ্ছেন, এ দিন বনগাঁ স্টেশনে তাঁরা নিজেরাই মালবাহী কামরা পরিষ্কার করেছেন। এ দিনের কর্মসূচির জন্য রেলের থেকে আগাম অনুমতিও নিতে হয়েছে তাঁদের।

এ দিনের অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্যোক্তা রবি পাল বলেন, ‘‘সমস্যায় না পড়লে লোকাল ট্রেনের মালবাহী কামরায় কেউ ওঠেন না। তবে এ দিন বহু লোক উঠেছেন। আমাদের অনুষ্ঠানে সঙ্গ দিয়েছেন অসংখ্য নিত্যযাত্রী।’’ অন্য এক সদস্যের কথায়, ‘‘রেলপথ ব্যবহার করে প্রচুর ফল, আনাজ, মাছ, ছানা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। অথচ যে কামরার মাধ্যমে এগুলো বহন করা হয় সেগুলির অবস্থা খুবই শোচনীয় থাকে। কামরার ছবিটা মনে পড়লে ওই খাবার মুখে তুলতে দ্বিতীয়বার ভাবতে হয়। রেল এ বার ওই সব কামরা পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিকে।’’

যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, মালবাহী কামরায় রাতেই শুরু হয় প্রকাশ্যে মদ্যপান। তাঁদের মতে, মহিলা কামরা কাছে হওয়ায় মালবাহী কামরায় নজরদারি আরও বাড়ানো উচিত। এই প্রসঙ্গে শিয়ালদহের রেলপুলিশ সুপার অশেষ বিশ্বাস বলেন, ‘‘গত মাসেই এই কাজের জন্য পাঁচ জনের একটি দল ধরেছি। বনগাঁ শাখার রেলযাত্রীদের এই অভিযোগও খতিয়ে দেখা হবে।’’ পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র বলছেন, ‘‘মালবাহী কামরার পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। নজরদারি আগের তুলনায় বাড়ানো হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE