হাওড়া স্টেশনে যাত্রীদের দুর্ভোগ। নিজস্ব চিত্র।
জঙ্গলমহলে জনজাতি সংগঠনের রেল অবরোধ সোমবার শেষ রাতে উঠে যায়। কিন্তু সেই অবরোধের ধাক্কায় মঙ্গলবারেও সারা দিন ট্রেন-বিপর্যয় এবং ভোগান্তি অব্যাহত ছিল। কারণ, এ দিনও অনেক মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাপথ বদলাতে বা সংক্ষিপ্ত করতে হয়েছে। বাতিল হয়েছে প্রচুর লোকাল ও প্যাসেঞ্জার ট্রেন।
সোমবার রাত ১টায় খেমাশুলিতে অবরোধস্থলে শুরু হয় বৈঠক। সেখানে ছিলেন ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের দুই এসপি, খড়্গপুরের এএসপি এবং এসডিও। পরে এসডিও সুদীপ সরকার বলেন, “আমরা বলেছি, ২৮ সেপ্টেম্বর শিক্ষামন্ত্রী ও পরিবহণমন্ত্রী জনজাতি সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের সঙ্গে দেখা করবেন। তাতে আশ্বস্ত হয়ে ওঁরা অবরোধ তুলে নেন।” ওই সংগঠনের দিশম পারগানা নিত্যানন্দ হেমব্রম বলেন, “২৮ তারিখে শিক্ষামন্ত্রী ও পরিবহণমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পরে আমাদের দাবি পূরণ না-হলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।”
অবরোধ উঠলেও মঙ্গলবার দিনভর হাও়ড়া, খড়্গপুর এবং আদ্রা ডিভিশনের বিভিন্ন স্টেশনে দুর্ভোগ পোহাতে হয় ট্রেনযাত্রীদের। সোমবার অবরোধ শুরু হওয়ার পরে অনেক ট্রেনে আলো, পাখা, জল ও খাবার ছিল না। কাজ করেনি বাতানুকূল যন্ত্রও। শিশু, বৃদ্ধ এবং রোগীরা চরম বিপাকে পড়েন। ভোগান্তির সেই ছবি অটুট ছিল অবরোধ ওঠার পরেও।
দক্ষিণ–পূর্ব রেলের খবর, অবরোধ ওঠার পরে, সকালের দিকে হাওড়া এবং অন্যান্য স্টেশন থেকে বেশির ভাগ দূরপাল্লার ট্রেন সূচি মেনে রওনা হয়। কিন্তু পরে যাত্রার সময় বদলানো হয় বেশ কিছু ট্রেনের। অবরোধ শুরু হওয়ার পর থেকে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ৪৮টি মেল ও এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে। প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল হয়েছে ৪৫টি। শহরতলির ট্রেন বাতিল হয়েছে ৪৬টি। লাইন খোলা না-পেয়ে ২২টি ট্রেনকে অন্য পথে ঘুরিয়ে দিতে হয়। দীর্ঘ ক্ষণ আটকে থাকায় যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করতে হয় ২৫টি মেল-এক্সপ্রেস ট্রেনের।
“পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার সব চেষ্টাই চলছে। সময়ে রেক না-পৌঁছনোয় কিছু ট্রেন বাতিল করতে হয়,” বলেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy