প্রতীকী ছিব।
ছাতা, ব্যাগ, দেশলাই, রুমাল রেখে কিছু নিত্যযাত্রীর সিট বুকিংয়ের বদ অভ্যাসের জেরে তিতিবিরক্ত লোকাল ট্রেনের যাত্রীরা। সে কথা রেলমন্ত্রকে টুইট করে সুফল পেয়েছেন রানাঘাট লোকালের যাত্রী এক চিকিৎসক। মন্ত্রকের নির্দেশে শনিবার রেল পুলিশ গ্রেফতার করেছিল কয়েকজনকে।
সেই অভিজ্ঞতার কথা সংবাদপত্রে পড়ে রেলমন্ত্রকে টুইট করেন বনগাঁর অভিষেক মণ্ডল ও ক্যানিংয়ের মেহেদি হাসান মোল্লা। দু’টি ক্ষেত্রেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মন্ত্রক থেকে নির্দেশ এসেছে আরপিএফের কাছে। ক্যানিংয়ে গ্রেফতার হয় তিন জন।
কর্মসূত্রে রোজই কলকাতায় যাতায়াত করতে হয় অভিষেককে। রবিবার রাত ৯টা নাগাদ রেলমন্ত্রকে দু’টি টুইট পাঠান তিনি। বেআইনি সিট বুকিং ছাড়াও চলন্ত ট্রেনের কামরায় তাস খেলার আসর বসা নিয়ে অভিযোগ করেন। তাসুড়েদের গা-জোয়ারির ফলে বাকি যাত্রীদের ভিড় কামরায় দাঁড়াতে কত সমস্যা হয়, সে কথাও লেখেন তিনি। ইতিমধ্যেই রেলমন্ত্রক আরপিএফকে পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়ে টুইট করেছে বলে জানতে পেরেছেন অভিষেক।
রেলমন্ত্রকের ভূমিকায় বুকে বল পেয়েছেন আরও অনেকে। রানাঘাট লোকালের ঘটনা সংবাদপত্রে জানতে পেরে রবিবারই রেলমন্ত্রকে টুইট করেছিলেন ক্যানিং লোকালের নিত্যযাত্রী মেহেদি হাসান মোল্লা। গোসাবার এই তরুণ কলকাতায় ডাক্তারি পড়তে যান। ক্যানিং লোকাল ধরে শিয়ালদহ যাওয়ার পথে তিনি দেখেন, তালদির কিছু যুবক কামরায় বসে ধূমপান করছেন। প্রতিবাদ করলে তাঁকে নানা ভাবে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। সে সব অভিজ্ঞতার কথাই টুইটে জানিয়েছিলেন মেহেদি। শুধু জবাব মিলেছে তাই নয়, রেলমন্ত্রকের কাছ থেকে নির্দেশ পেয়ে রবিবার ও সোমবার তিনজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে বলে রেল পুলিশ সূত্রের খবর।
মেহেদি বলেন, ‘‘রেল পুলিশ সব কিছু দেখেও না দেখার ভান করে থাকে। এর আগে একবার বিষয়টি নিয়ে ক্যানিং রেল পুলিশকে মৌখিক ভাবে জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা তখন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy