Advertisement
০৯ অক্টোবর ২০২৪
West Bengal Weather Update

এক দিনের টানা বর্ষণেই রাজ্যে ৭ শতাংশ ঘাটতি কমে গেল বৃষ্টির! সৌজন্যে ঘূর্ণাবর্ত, মৌসুমি অক্ষরেখা

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কলকাতায় বৃষ্টির ঘাটতির পরিমাণ ছিল ২৯ শতাংশ। শুক্রবারের পরিসংখ্যান বলছে, সেই ঘাটতির পরিমাণ কমে হয়েছে ২৪ শতাংশ। এক দিনে কলকাতায় ঘাটতির পরিমাণ পাঁচ শতাংশ কমে গিয়েছে।

image of rain

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২৪ ১৪:২৮
Share: Save:

জুনের শেষ ভাগে বর্ষা এলেও যথেষ্ট বৃষ্টি হয়নি দক্ষিণবঙ্গে। যত দিন গড়িয়েছে, ঘাটতি বেড়েছে। অন্য দিকে, ভেসে গিয়েছে উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলা। কিন্তু রাজ্যে সার্বিক ভাবে বৃষ্টির ঘাটতি বেড়েই গিয়েছে। অগস্টের প্রথম দিন রাজ্যে যা বর্ষণ হয়েছে, তাতে এক ধাক্কায় সেই ঘাটতি অনেকটাই কমেছে। ঘূর্ণাবর্ত এবং সক্রিয় মৌসুমি অক্ষরেখার প্রভাবে রাজ্যে বৃষ্টির ঘাটতি কমেছে প্রায় সাত শতাংশ। কলকাতায় এক দিনে ঘাটতির পরিমাণ কমেছে প্রায় পাঁচ শতাংশ ।

সার্বিক ভাবে ১ জুন থেকে ১ অগস্ট পর্যন্ত রাজ্যে বৃষ্টির ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১১ শতাংশ। বৃহস্পতিবার, ১ অগস্ট দিনভর বৃষ্টির পর ২ অগস্ট, শুক্রবার আলিপুর আবহাওয়া দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যে এখন বৃষ্টির ঘাটতির পরিমাণ নেমে এসেছে চার শতাংশে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কলকাতায় বৃষ্টির ঘাটতির পরিমাণ ছিল ২৯ শতাংশ। শুক্রবারের পরিসংখ্যান বলছে, সেই ঘাটতির পরিমাণ কমে হয়েছে ২৪ শতাংশ। অর্থাৎ এক দিনে কলকাতায় ঘাটতির পরিমাণ পাঁচ শতাংশ কমে গিয়েছে।

হুগলি এবং পশ্চিম বর্ধমানে ঘাটতি পূরণ হয়ে স্বাভাবিকের থেকে একটু বেশিই বৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হুগলিতে বৃষ্টি ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১৬ শতাংশ। শুক্রবার হাওয়া অফিস যে পরিসংখ্যান দিয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, হুগলিতে পাঁচ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পশ্চিম বর্ধমানে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ২৬ শতাংশ। শুক্রবারের পরিসংখ্যান বলছে, সেখানে এক শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। গত এক দিনে ঘাটতি পূরণের পর অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে ওই জেলায়।

দক্ষিণের বাকি জেলাগুলিতেও ঘাটতির পরিমাণ অনেকটাই কমেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বৃষ্টির ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৪২ শতাংশ। উত্তর ২৪ পরগনাতেও তা-ই ছিল। শুক্রবারের পরিসংখ্যান বলছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এখন ঘাটতির পরিমাণ কমে হয়েছে ৩১ শতাংশ। ঘাটতির পরিমাণ কমে ৩৪ শতাংশ হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনায় । বাঁকুড়ায় বৃহস্পতি থেকে শুক্রবার, এক দিনে ঘাটতি কমেছে ১২ শতাংশ। পুরুলিয়ায় সাত শতাংশ কমেছে। নদিয়ায় বৃষ্টির ঘাটতি এক দিনে ৫৭ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৩৫ শতাংশ।

উত্তর দিনাজপুরে ঘাটতির পরিমাণ যদিও ৫২ শতাংশই রয়ে গিয়েছে। উত্তরবঙ্গে একমাত্র এই জেলাতেই বৃষ্টি ঘাটতি রয়েছে। কালিম্পং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুরে এখনও পর্যন্ত স্বাভাবিক বৃষ্টিই হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, চলতি সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হতে পারে। তার জেরে ঘাটতি কতটা কমে, বা কমে কি না, তা নজরে থাকবে।

অন্য বিষয়গুলি:

rainfall scarcity of rain
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE