Advertisement
E-Paper

স্বর্ণকার খুন: আত্মসমর্পণ এড়াতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত, হাই কোর্ট আগেই বেঁধে দিয়েছে সময়সীমা

রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মণকে আগাম জামিন দিয়েছিল বারাসত আদালত। গত সোমবার সেই নির্দেশ খারিজ করে দেয় হাই কোর্ট। এ বার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিডিও।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৪:১৯
রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মণ।

রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মণ। — ফাইল চিত্র।

দত্তাবাদে স্বর্ণকার খুনের মামলায় হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এ বার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মণ। গত সোমবার তাঁর আগাম জামিন খারিজ করে দেয় হাই কোর্ট। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রশান্তকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বুধবারই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিডিও।

বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বড়দিনের ছুটি চলছে। খুলবে আগামী ৫ জানুয়ারি। যদিও অবকাশকালীন বেঞ্চ খোলা থাকবে এই সময়ে। এ দিকে প্রশান্তের আত্মসমর্পণের জন্য হাই কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা ফুরোচ্ছে বৃহস্পতিবারই। এ অবস্থায় বিডিও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ায় দত্তাবাদে স্বর্ণকারকে অপহরণ এবং খুনের মামলা নতুন মোড় নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

গত ২৯ অক্টোবর নিউ টাউনের যাত্রাগাছি থেকে উদ্ধার হয় স্বর্ণকার স্বপনের দেহ। তাঁর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এ পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই মামলায় নাম জড়ায় জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্তের। তিনিই এই ঘটনার ‘মূল অভিযুক্ত’ বলে দাবি করা হচ্ছে।

তবে জিজ্ঞাসাবাদ বা গ্রেফতারের আগেই বারাসত আদালতে আগাম জামিনের আর্জি জানান প্রশান্ত। সেই আর্জি মঞ্জুরও করে বারাসত আদালত। পরে ওই আগাম জামিনের আর্জির বিরোধিতা করে হাই কোর্টে আবেদন করে বিধাননগর পুলিশ। বারাসত আদালতের দেওয়া আগাম জামিনের নির্দেশ গত সোমবার খারিজ করে দেয় হাই কোর্ট। কেন তাঁর আগাম জামিন মঞ্জুর করা হয়েছিল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।

হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, খুনের মতো ঘটনায় জামিন বা আগাম জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে নিম্ন আদালতকে যে বিষয়গুলির উপর নজর রাখতে হয়, এই ব্যাপারে তার কোনওটাই বারাসত আদালত দেখেনি! গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ অস্বীকার করে জামিন দিয়েছিলেন বারাসত আদালতের বিচারক।

গত সোমবার হাই কোর্টের আরও পর্যবেক্ষণ ছিল, ‘‘অভিযুক্ত একজন ডব্লিউবিসিএস অফিসার বলেই তাঁকে জামিন দেওয়া হয়েছে।’’ এই খুনের মামলায় সহযোগীরা জেলে রয়েছেন। কিন্তু মূল অভিযুক্ত কী ভাবে জামিনে রয়েছেন, তা কী ভাবে সম্ভব, এই নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।

Duttabad Murder Case Calcutta High Court Supreme Court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy