Advertisement
০৪ মে ২০২৪
Rakesh Sharma

মহাকাশ ব্যবসায় ভারতীয় উদ্যোগপতি চান রাকেশ

১৯৮৪ সালে রুশ মহাকাশযানে চেপে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন বায়ুসেনার তৎকালীন স্কোয়াড্রন লিডার রাকেশ শর্মা। ৭ দিন মহাশূন্যে কাটিয়ে ফিরে এসেছিলেন পৃথিবীতে।

কলকাতায় স্পেস সায়েন্স মিউজিয়ামের উদ্বোধনে ভারতের প্রথম মহাকাশচারী রাকেশ শর্মা। শুক্রবার।

কলকাতায় স্পেস সায়েন্স মিউজিয়ামের উদ্বোধনে ভারতের প্রথম মহাকাশচারী রাকেশ শর্মা। শুক্রবার। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ০৬:১৩
Share: Save:

মহাকাশ অভিযানে সম্প্রতি একাধিক সাফল্য পেয়েছে ভারত। তার পাশাপাশি মহাকাশ ক্ষেত্রে বাণিজ্যের পথও খুলে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার ফলে মহাকাশ প্রযুক্তি সংক্রান্ত নানা ব্যবসায়িক উদ্যোগও শুরু হয়েছে দেশে। বিজ্ঞানচর্চার পাশাপাশি এই ব্যবসায়িক উদ্যোগ নিয়ে বিশেষ আশাবাদী দেশের প্রথম মহাকাশচারী রাকেশ শর্মা। শুক্রবার কলকাতায় ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজ়িক্স-এর মহাকাশ জাদুঘর বা স্পেস মিউজ়িয়ামের উদ্বোধনে এসে তিনি বললেন, ‘‘মহাকাশ প্রযুক্তির ব্যবসায় বেসরকারি ক্ষেত্রের জন্যও দরজা খুলেছে দেশে। নতুন নতুন স্টার্ট-আপ তৈরি হচ্ছে। আশা করছি, ভবিষ্যতে এ দেশেও এলন মাস্ক, জেফ বেজ়োস তৈরি হবে।’’

১৯৮৪ সালে রুশ মহাকাশযানে চেপে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন বায়ুসেনার তৎকালীন স্কোয়াড্রন লিডার রাকেশ শর্মা। ৭ দিন মহাশূন্যে কাটিয়ে ফিরে এসেছিলেন পৃথিবীতে। এখনও পর্যন্ত তিনিই একমাত্র ভারতের প্রতিনিধি হিসাবে মহাকাশে গিয়েছেন। তবে ফের মহাকাশে মানুষ পাঠানোর তোড়জোড় করছে ইসরো। এ বার নিজেদের মহাকাশযানে চেপেই পাড়ি দেবেন বায়ুসেনার তিন জন পাইলট। ইসরো সূত্রের খবর, সেই গগনযান প্রকল্পেও যুক্ত আছেন রাকেশ।

ই এম বাইপাসে মুকুন্দপুরে ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজ়িক্স-এর নবনির্মিত ভবনেই মিউজ়িয়াম তৈরি হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে, মিউজ়িয়াম ফর অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড স্পেস সায়েন্স। সেখানে রয়েছে অ্যাপোলো-১১ মহাকাশযানের মডেল (এতে চেপেই চাঁদে গিয়েছিলেন নিল আর্মস্ট্রং-সহ তিন জন মার্কিন মহাকাশচারী)। তার ভিতরে তিন মহাকাশচারীর পুতুলও আছে। আছে অরভিল এবং উইলবার রাইটের তৈরি করা প্রথম প্লেনের মডেল। এ ছাড়াও, প্রথম ভারতীয় হিসাবে বেলুনে চেপে আকাশে পাড়ি দেওয়া রামচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এবং কলকাতার বাসিন্দা অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান রকেট নির্মাতা স্টিফেন হেক্টর টেলর স্মিথের নানা স্মারক। আছে চাঁদের এবং মঙ্গলের পাথর এবং একটি ছোট মাপের তারামণ্ডলও।

এ দিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই প্রতিষ্ঠানের অধিকর্তা অধ্যাপক সন্দীপ চক্রবর্তী জানান, তাঁরা নবনির্মিত ভবনে জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং মহাকাশ বিজ্ঞান সংক্রান্ত বিশ্ববিদ্যালয় খুলবেন। তাঁর প্রথম উপাচার্য হবেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহবিজ্ঞানের অধ্যাপক সুব্রতকুমার মিদ্যা। এ ব্যাপারে পরিচালন সমিতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজ্য সরকার যাতে বিশ্ববিদ্যালয়টি অধিগ্রহণ করে সেই প্রস্তাব তাঁরা দিয়েছেন। অনুষ্ঠানে ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। তিনি পরে সংবাদমাধ্যমকে জানান, তাঁরা প্রস্তাব পেয়েছেন। বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

এ দিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইসরোর বিজ্ঞানী অনুজ নন্দী, ইসরোর মহাকাশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন অধিকর্তা সুভাষচন্দ্র চক্রবর্তী এবং টাটা ইনস্টিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ-এর পদার্থবিদ এ আর রাও। অনুজ একদা এই প্রতিষ্ঠানে গবেষক ছিলেন। সম্প্রতি চন্দ্রযান-৩ এবং আদিত্যযান এল-১ অভিযানের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র তৈরি করেছেন তিনি। অনুজ এ দিন বলেন, ‘‘মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে মূল আকর্ষণ তৈরি হয়েছিল এই প্রতিষ্ঠানে এসেই। সেই প্রতিষ্ঠানে এমন একটি মিউজ়িয়ামে উপস্থিত থাকতে পেরে খুবই ভাল লাগছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Rakesh Sharma Space Tech
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE