Advertisement
১৭ মে ২০২৪
Rampurhat

Rampurhat Clash: কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের জন্যই ষড়যন্ত্র করে ঘটনা ঘটিয়েছে বিরোধী বিজেপি, বলছে তৃণমূল

বিজেপি-র দাবি, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এতই খারাপ যে, কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। অন্য দিকে তৃণমূলের দাবি, বিজেপি-র ষড়যন্ত্রেই এই ঘটনা।

তখন আগুন  নেভানোর চেষ্টা করছেন দমকলকর্মীরা।

তখন আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন দমকলকর্মীরা। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২২ ১৬:৫২
Share: Save:

রামপুরহাটের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দ্বারস্থ হয়েছেন এ রাজ্যের বিজেপি সাংসদদের একটি প্রতিনিধি দল। ওই দলে সুকান্ত মজুমদার, অর্জুন সিংহ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, রাজু বিস্তা-সহ কয়েক জন ছিলেন। পরে ওই প্রতিনিধি দল জানায়, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে অমিতের মন্ত্রক। রাজ্যে আসবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলও। একই দাবিতে রাজভবনে যায় বিজেপি-র পরিষদীয় দল। তবে বিজেপি রাজ্যে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চাইলেও, গোটা ঘটনাকে বিজেপি-র ষড়যন্ত্র হিসেবে অভিহিত করছে তৃণমূল। রাজ্যের শাসকদলের দাবি, কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের জন্যই ষড়যন্ত্র করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বিজেপি। যা একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অঙ্গ। তৃণমূলের মতে, এই ঘটনার নেপথ্যে কোনও দলীয় রাজনীতি নেই, স্থানীয় গ্রাম্য বিবাদের জেরে ঘটেছে এই ঘটনা।

রামপুরহাট-কাণ্ডে তেতে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। ওই ঘটনা প্রসঙ্গে বিধানসভায় রাজ্য সরকারের তরফে বিবৃতি দেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিবৃতিতে পার্থ বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে বৃহত্তর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। সরকার এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করেছে। রামপুরহাটের এসডিপিও-কে এবং থানার ওসিকে ক্লোজ করে দেওয়া হয়েছে।’’

একই সুরে দলীয় সাংবাদিক বৈঠক থেকেও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘বিচ্ছিন্ন অনভিপ্রেত ঘটনা নিয়ে যারা যত রাজনীতি করবে ততই বৃহত্তর ষড়যন্ত্র নিয়ে সন্দেহের অবকাশ বাড়ছে।’

মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে যান রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘‘রামপুরহাটের ঘটনায় সিপিএম, বিজেপি বা অন্য দল যেই জড়িত থাকুক ছাড়া পাবে না। এমনকি তৃণমূলের কেউ জড়িত থাকলে তাঁরাও ছাড়া পাবেন না। রাজ্য সরকারকে বদনাম করার চেষ্টা করে কেউ পার পাবে না।’’

শুরু থেকেই তৃণমূল দাবি করছে, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। স্থানীয় গ্রাম্য বিবাদের জেরেই এই ঘটনা। রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতেই বিজেপি এই ষড়যন্ত্র করেছে। মঙ্গলবার সকালেই বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছিলেন, রাজ্য ধীরে ধীরে রাষ্ট্রপতি শাসনের পথে এগোচ্ছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এক দিকে রাজ্য বিজেপি যখন আইনশৃঙ্খলার বেহাল দশার অভিযোগে রাজ্যে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবিতে দিল্লিতে তদ্বির করে মমতা সরকারের উপর চাপ বাড়াতে চাইছে, তখন রামপুরহাটের ঘটনায় পাল্টা বিজেপি-র ষড়যন্ত্রের দাবি তুলছে তৃণমূল। দাবি পাল্টা দাবি ঘিরে ক্রমেই উত্তেজনার পারদ চড়ছে বঙ্গ রাজনীতির।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Rampurhat TMC BJP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE