কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ।—ফাইল চিত্র।
করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের তৃণমূল সরকার কেন্দ্রের মোদী সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করেনি বলে অভিযোগ তুললেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। রাজ্য বিজেপির নবদ্বীপ সাংগঠনিক জ়োনের কর্মী এবং জনতার উদ্দেশে বৃহস্পতিবার ‘ভার্চুয়াল সভা’য় তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘মমতাজি, আমপানের পর আপনি চেয়েছিলেন, মোদীজি এক বার বাংলায় গিয়ে ক্ষয়ক্ষতি দেখে আসুন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি কি আসেননি? তা হলে করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রেও আপনি কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করলেন না কেন? সব জায়গায় রাজনীতি করার ফলে বাংলার জনতাকে ভুগতে হল।’’ একই সঙ্গে ওই সভায় ভারত-চিন সংঘাত প্রশ্নে বাম এবং কংগ্রেসকে খোঁচা দেন রবিশঙ্কর।
কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর অভিযোগ, করোনা মোকাবিলায় হাসপাতাল, কোয়রান্টিন কেন্দ্র, স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা বর্ম প্রভৃতির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাজ্যের তৃণমূল সরকার করতে পারেনি। অন্য অনেক রাজ্য কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় রাখায় করোনা মোকাবিলায় এগিয়ে থেকেছে। রবিশঙ্কর আরও বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদী দেশে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এ দেশে করোনায় মৃত্যু কম হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে অবশ্য শুরুতে লকডাউন ভাল ভাবে লাগু করা হয়নি। পরে সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় তারা লকডাউনের গুরুত্ব বুঝেছে। কিন্তু শুরুতেই বাংলায় লকডাউন ভাল ভাবে হলে সেখানে মৃত্যু আরও কম হত।’’
তৃণমূল অবশ্য রবিশঙ্করের ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। দলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘‘করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে কেন্দ্র গোড়া থেকেই এ রাজ্যকে প্রতিপক্ষের দৃষ্টিতে দেখেছে। কী ভাবে রাজ্য সরকারকে খাটো করা যায়, শুধু তা-ই ভেবেছে। সমন্বয়, সহযোগিতার মনোভাব দেখানো উচিত ছিল ওঁদেরই। তা না করে রাজনৈতিক স্বার্থে দোষারোপ করে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপি।’’
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গাড়ির উপর বুধবারের হামলার প্রসঙ্গ তুলেও এ দিন কটাক্ষ করেন রবিশঙ্কর। তিনি বলেন, ‘‘ভেবেছিলাম, অন্তত করোনার সময়ে বিরোধীদের উপর হামলার বদলে গরিবের সেবার কাজ বেশি হবে। কিন্তু বাংলার ব্যাপারটা অদ্ভুত। সেখানে লোকসভায় ৮টা আসন জেতা দলের সভাপতির উপর হামলার চেষ্টা হয়েছে এই করোনা সঙ্কটের মধ্যেও। এই বাংলাকে সংশোধনের লক্ষ্য নিয়ে আমরা চলছি।’’ তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য বুধবারই দাবি করেছিলেন, দিলীপবাবুর গাড়িতে হামলায় তাঁদের কেউ জড়িত নন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy