ফিরহাদ হাকিম।—ফাইল চিত্র।
এ যেন ধরি মাছ, না ছুঁই পানি!
রবিবারে তারাতলার ঘটনায় তৃণমূলের কোনও যোগ নেই বলে জানিয়ে দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (ববি)। পাশাপাশি তিনি জানান, যে ঘটনা ঘটেছে তা ঠিক হয়নি।
রবিবার তারাতলার হাইড রোডে পোর্ট ট্রাস্টের জমি জবরদখলকে ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে। ওই জমি জবরদখলে শাসকদল-ঘনিষ্ঠ ভেঙ্কটেশ ফিল্মস-এর কর্ণধার শ্রীকান্ত মোহতার নাম উঠে আসে। কিন্তু এ দিন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম স্পষ্ট জানিয়ে দেন ওটা একটা স্থানীয় সমস্যা। এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। এর পরেই তাঁর সংযোজন, ‘‘কে শ্রীকান্ত মোহতা, কার জমি তাও জানি না। তবে এই ঘটনায় তৃণমূলের কেউ জড়়িত নয়।’’ এ দিনই ডায়মন্ড হারবারের ফকিরচাঁদ কলেজে গণ্ডগোলের অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক দীপক হালদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অথচ দলের ঘনিষ্ঠ শ্রীকান্ত মোহতার নাম তারাতলা কাণ্ডে জড়িয়ে পড়লেও পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়নি এক জনকেও।
ওই দিন আইন মেনে বেদখল হওয়া জমি পুনরুদ্ধার করতে গিয়েছিলেন পোর্ট ট্রাস্টের আধিকারিকরা। নোটিসও টাঙিয়ে দিয়ে এসেছিলেন তাঁরা। কিন্তু কিছু ক্ষণের মধ্যেই জনা কয়েক দুষ্কৃতী এসে ওই জমি ফের দখল করে বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। তাঁদের মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়। এই ঘটনার পরও অভিযুক্তদের এ দিনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের উপর হামলা চালানোর প্রতিবাদে সোমবার তারাতলা থানায় বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি। নেতৃত্বের পুরোভাগে ছিলেন রাজ্য বিজেপি-র সহ-সভাপতি সুভাষ সরকার। জনা পঞ্চাশেক কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ বিক্ষোভ দেখান সুভাষবাবু। সঙ্গে ছিলেন অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ও। প্রায় আধ ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখানোর পর তাঁরা ডিসি দক্ষিণ-পশ্চিম ডিভিশন রশিদ মুনির খানের কাছে এ বিষয়ে একটি স্মারকলিপি জমা দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy