নথি ছাড়াই কী ভাবে চাকরিতে যোগ দিলেন চাকরিপ্রার্থীরা, সেই নিয়ে কোর্টে প্রশ্নের মুখে এসএসসি। প্রতীকী ছবি।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) তথ্য অনুযায়ী, চাকরিপ্রার্থী কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ায় যোগ দেননি। তাই তাঁকে নিয়োগের সুপারিশপত্র দেওয়া হয়নি। অথচ মধ্য শিক্ষা পর্ষদের তথ্য বলছে, কমিশনের পাঠানো নিয়োগের সুপারিশ মেনেই নিয়োগপত্র ছাপানো হয়েছে। তবে সেই চিঠি চাকরিপ্রার্থী নিতে আসেননি! স্কুল শিক্ষক নিয়োগ মামলায় কলকাতা হাই কোর্টে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, এক-দু’জন নন, এমন ঘটনা অন্তত ৬৭ জন চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে ঘটেছে। তার মধ্যে সাত জন চাকরিতে যোগও দিয়েছেন। কোনও নথি ছাড়াই কী ভাবে চাকরিতে যোগ দিলেন তাঁরা, সেই প্রশ্নও উঠেছে।
সালমা সুলতানা নামে চাকরিপ্রার্থীর মামলায় এই প্রসঙ্গেই কোর্টে উঠেছে নিয়োগের অনিয়মের প্রশ্ন। এসএসসি জানিয়েছে, ২০২০ সালের অগস্ট মাসে ওই চাকরিপ্রার্থীদের কাউন্সেলিংয়ে আসার জন্য এসএমএস পাঠানো হয়েছিল। ফিরদৌস পাল্টা কোর্টে জানান, ওই নিয়োগের প্যানেলের মেয়াদ ২০১৯ সালে ফুরিয়ে গিয়েছে। তা হলে কী ভাবে মেয়াদ-উত্তীর্ণ প্যানেলের প্রার্থীদের কাউন্সেলিংয়ে ডাকল এসএসসি? কাদের কী ভাবে সেই এসএমএস পাঠানো হয়েছিল। এই সওয়াল-জবাব শুনে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু সিবিআইয়ের কৌঁসুলিকে তলব করেন। কেন্দ্রের ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্য কোর্টে হাজির হন। বিচারপতি তাঁকে নির্দেশ দেন, এই মামলার নথি সিবিআইকে দিতে এবং এই এসএমএস পাঠিয়ে কাউন্সেলিংয়ে তলবের বিষয়টি সিবিআই দেখছে কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে। আগামী ১৯ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি।
প্রসঙ্গত, স্কুল নিয়োগ মামলায় অতীতেও নানা ধরনের অনিয়মের বিষয় সামনে এসেছিল। নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে এসএসসির তৎকালীন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিংহ, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy