রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। ফাইল চিত্র।
নিয়োগ-দুর্নীতির মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতিরা যে সব মন্তব্য করছেন, তার প্রেক্ষিতে পাল্টা সরব হল তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের প্রশ্ন, বিচারপতি যদি সবই জানেন, তা হলে সাক্ষ্য দিচ্ছেন না কেন? নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ-সহ যুব তৃণমূল নেতাদের শাস্তির দাবিতে একই দিনে পথে নামল বিজেপির যুব মোর্চা।
কেলেঙ্কারি মাথা সংক্রান্ত যে মন্তব্য বিচারপতি করেছেন, তার প্রেক্ষিতে নাম না করেই রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘বিচারপতি পদে সময় নষ্ট করছেন কেন? কে মাথা তা জানেন, ধেড়ে ইঁদুর কী জিনিস, তা-ও জানে! তা হলে নিজেই সাক্ষ্য দিচ্ছেন না কেন?”
বিজেপির যুব মোর্চার ডাকে এ দিন রুবি মোড় থেকে বেহালা সখের বাজার পর্যন্ত বাইক মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক তথা বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল এবং যুব সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ। তাঁদের অভিযোগ, নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের আড়াল করছে তৃণমূল। বাংলায় যুব সম্প্রদায়ের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। চাকরির সুযোগ কমছে। চাকরি বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতিটি দুর্নীতির সঙ্গে তৃণমূলের নাম জড়িয়ে যাচ্ছে। অগ্মিমিত্রা বলেন, ‘‘বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, কুন্তল ঘোষের কাছ থেকে এক অভিনেত্রী-যুব নেত্রী বিলাসবহুল ফ্ল্যাট পেয়েছেন। তিনটি ফ্ল্যাট ভেঙে একটি ফ্ল্যাট তৈরি করা হয়েছে। সেই ফ্ল্যাট কিনতে এবং আসবাবপত্র তৈরিতে নিয়োগ দূর্নীতির টাকা রয়েছে। আমরা জানতে চাইছি, সেই অভিনেত্রী কে?’’ সেই সঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, “পার্থ চট্টোপাধ্যায় যখন ধরা পড়েছিলেন, তখন দলের সর্বোচ্চ নেত্রী বলেছিলেন, তিনি কিছু জানেন না। এখন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক ১০০ কোটি টাকা তুলেছে বলে শোনা যাচ্ছে আর যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি বলছেন, কত লোক তো প্রতিদিন আশেপাশে আসেন, সকলের খোঁজ নেওয়া যায়? কত লোক আর সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক এক?” তৃণমূলের তরফে কুণাল অবশ্য কটাক্ষ করেছেন, ‘‘এটা মিছিল নাকি? ঠাকুর বিসর্জনের সময় যেমন কিছু লোক ম্যাটাডোরের পিছনে যায়, এখানেও তেমন হয়েছে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy