বিধায়ক থেকে মানুষের জন্য কাজ করতে চান লক্ষ্মীরতন।
সব কথা প্রকাশ্যে বলা উচিত নয় এবং বলতেও চান না লক্ষ্মীরতন শুক্ল। মন্ত্রিত্ব ও হাওড়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসার প্রায় ৭২ ঘণ্টা পরে এমনই মন্তব্য করলেন লক্ষ্মী। গত মঙ্গলবারই বাংলার ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা উত্তর হাওড়ার তৃণমূল বিধায়কের ওই সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ্যে আসে। তার পর থেকে তৈরি হওয়া নানা জল্পনার উত্তর বৃহস্পতিবার দিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার হাওড়ার ডুমুরজলা এলআরএস অ্যাকাডেমিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেন লক্ষ্মী। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘রাজনীতি থেকে আপাতত অব্যাহতি চাইছি। সেই কারণেই পদ ও মন্ত্রিত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত। তবে বিধায়ক পদ ছেড়ে দিচ্ছি না। এখন খেলাধুলার প্রতি বেশি মনসংযোগ করতে চাই। বাংলার ক্রিকেটকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। পাশাপাশি মানুষের সেবা করে যেতে চাই।’’
কিন্তু কী এমন ঘটছিল যে মন্ত্রিত্ব ও তৃণমূলের জেলা সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করতে হল? এ প্রসঙ্গে সমস্ত প্রশ্নই সযত্নে এড়িয়ে গেলেন লক্ষ্মী। বললেন, ‘‘সব কথা প্রকাশ্যে বলা ঠিক নয়। তাই বলছি না।’’ একই সঙ্গে তিনি জানান, সিদ্ধান্তের কারণ তিনি নিজের মধ্যেই রাখতে চান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যস্ত থাকেন বলে তাঁকে সরাসরি বলতে চাননি। তবে কারও প্রতি কোনও ক্ষোভ, অভিমান নিয়ে রাজনীতিতে থেকে তাঁর এই আপাতত সরার সিদ্ধান্ত নয় বলেই জানিয়েছেন লক্ষ্মী।
আরও পড়ুন: ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলা, সংঘর্ষে মৃত ৪, উত্তাল আমেরিকা
আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্ট ভোটে বাইডেনের জয় অনুমোদন কংগ্রেসের, মানলেন ট্রাম্পও
হাওড়া জেলা তৃণমূলের সাম্প্রতিক অভ্যন্তরীণ কোন্দল সকলেরই জানা। অনেক দিন ধরেই বেসুরো মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীর কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘‘সভাপতি হওয়ার পর লক্ষ্মীর কোনও মুভমেন্ট ছিল না। দলটা কেমন যেন হয়ে যাচ্ছে। কোনও কমিটি গঠন করেননি নতুন সভাপতি।’’ এর পরে পরেই লক্ষ্মীর ইস্তফা স্বাভাবিক ভাবেই অনেক প্রশ্ন তৈরি করে। ইস্তফার পরে তিনি বিজেপি-তে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনাও শুরু হয়। কিন্তু এ দিন সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন লক্ষ্মী। তিনি বলেন, ‘‘ক্রীড়াবিদ হিসেবে সব রাজনৈতিক দলকে সম্মান জানাই। কোথাও যোগদানের সম্ভাবনা নেই। এখনও বিধায়ক পদ ছাড়িনি, মানুষের সেবা করে যাব।’’ মমতার সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক বজায় থাকবে বলেও দাবি জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy