প্রতীকী ছবি।
বছর কয়েক আগেও দিনমজুরি করে পেট চলত পরিবারের৷ সেই পরিবারের হাতেই এখন বালি-পাথরের ব্যবসার জন্য রয়েছে খানসাতেক লরি৷ একাধিক ছোট গাড়ি, মোটরবাইক। পুরানো কাঠের বাড়ির পাশে ঝাঁ চকচকে দোতলা বাড়িও তৈরি হচ্ছিল৷
কিন্তু বুধবার এই বাড়িরই ছেলে সোহেল সরকারের হাতে এলাকার যুবক মহম্মদ ইলিয়াসকে খুনের অভিযোগ ওঠার পরে পরিস্থিতি দ্রুত বদলাতে শুরু করেছে। বাড়ি ভেঙেচুরে দেওয়া হয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে গাড়ি। তৃণমূল নেতৃত্বও পাশ থেকে সরে গিয়েছে। সোহেলের দাদা রাসেল সরকার তৃণমূলের ব্লক কমিটির সদস্য। জেলা তৃণমূল নেতারা অবশ্য জানান, এই ঘটনার সঙ্গে দলের কেউ জড়িত নন। ঘিস নদীর চরের দখল নিয়ে যে লড়াই ইলিয়াস ও সোহেলদের মধ্যে হয়েছিল, তাতেও তৃণমূল জড়িত নয়, দাবি শাসক দলের।
ইলিয়াস ও সোহেল দু’জনেই তৃণমূল সমর্থক হওয়ায় ঘটনার পরেই বিড়ম্বনায় পড়ে যায় শাসক দল। ক্রমে প্রকাশ পেয়েছে, সোহেলের বাবা আফাজউদ্দিন ও দাদা রাসেলের হাত ধরে গত কয়েক বছরে এই পরিবারের রাতারাতি উত্থানের গল্প। অনেকের দাবি, পরিবারটির উত্থানের পিছনে শাসক দলের পাশাপাশি প্রশাসনের কর্তাদের একাংশেরও মদত রয়েছে৷
তৃণমূল সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। শুক্রবার এলাকায় শান্তি বৈঠক হয়েছে। সেখানে নদীর উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে দ্রুত আইনের শাসন জারির পরামর্শ দেন জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরকে আরও কড়া হওয়ার কথা বলেন পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি। ওদলাবাড়িতে ২০ জনের একটি স্থায়ী পুলিশ পিকেট গঠন করা হবে বলেও জানিয়ে দেন তিনি।
ইলিয়াসের স্ত্রী মহসিনা বেগম আবেদন জানাতে সৌরভ তাঁর জন্যে স্বাস্থ্য দফতরে অস্থায়ী ভিত্তিতে দ্রুত নিয়োগের আশ্বাস দেন। সোহেলের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপারও। শাস্তি ও চাকরির আশ্বাস পেয়ে বৈঠকে অনেকটাই স্বস্তি ফিরে আসে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy