পুজো শেষ। শরতের আকাশে উঁকি মারছে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ। উমা কৈলাশে পা রাখলেও পুজোর শামিয়ানা এখনও গুটিয়ে ফেলেনি বাঙালি। দিন কয়েক পরেই শহর সাজবে আলোর রোশনাইয়ে। দীপাবলির প্রদীপে, আতসবাজির গন্ধে মেতে উঠবে সকলে। উৎসবের সেই আনন্দঘন মুহূর্তকে আরও সুন্দর করে তুলতে কলকাতা তথা ভারতের অন্যতম সেরা স্থাপত্য নির্মাণ সংস্থা শ্রাচী গ্রুপ আরও একবার নিয়ে এল রেনেসাঁ টাউনশিপ। নতুন ভাবে, নতুন রূপে।
প্রত্যেকেই স্বপ্ন দেখে নতুন বাড়ির। যার স্নিগ্ধ ছায়ার পরশে দিনের শেষে সমস্ত ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। এই রাজ্যের স্বপ্নসন্ধানীদের স্বপ্নের হদিশ দিতেই তৈরি হয়েছে রেনেসাঁ। জাতীয় সড়ক ২-এর উপরে বর্ধমান শহরের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছে এই রেনেসাঁ টাউনশিপ। সেই বর্ধমান শহর, যার ইতিহাসের খাতায় লুকিয়ে রয়েছে কত-শত গল্পকথা। ইতিহাসের সেই ধূসর পাতাকে সাক্ষী রেখে ২২৪ একর জমি জুড়ে তৈরি হওয়া এই টাউনশিপ ইতিমধ্যেই বদলে দিয়েছে এখানকার জীবনযাত্রার সংজ্ঞা। যে সংজ্ঞা, সংজ্ঞায়িত করে স্বপ্নকে সত্যি করার পথে এগিয়ে যেতে পেরেছেন বহু মানুষ।
বর্ধমানের পাকা রাস্তায়, বিস্তীর্ণ ঘন সবুজ প্রাণরাশির মধ্যে শ্রাচী যেন স্বপ্ন তৈরির কারিগর। তাদের হাত ধরেই একটু একটু করে গড়ে উঠেছে এই স্বপ্ন নগরী। রেনেসাঁ আসলে বর্ধমান শহরের অলিন্দেই তৈরি হওয়া আর একটা ছোট্ট শহর। কী নেই এখানে! আস্ত একটা শহরে যা থাকে, তার সমস্ত কিছুই রয়েছে এখানে। পড়াশুনার জন্য স্কুল, থাকার জন্য প্রাসাদসম ফ্ল্যাট বাড়ি বা বাংলো থেকে রোজনামচার বাজার-হাট, স্বাস্থ্যকেন্দ্র - নিয়মিত যাপনে বা আপাৎকালীন পরিস্থিতিতে কোনও পরিবারের যা যা প্রয়োজন তার সমস্ত কিছু রয়েছে এখানে।
শুধু উচ্চমানের জীবনযাত্রাই নয়, সাধারণ মানুষের আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্নকে সত্যি করতে কোনও রকম ফাঁক রাখেনি শ্রাচী। মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত, সমস্ত স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার চাবিকাঠি রয়েছে এখানে। নজরকাড়া বাংলো থেকে শুরু করে মন ভাল করা টুইন হাউজ। ছাপোষা অথচ বিলাসবহুল এক, দুই বা তিন কামরার ফ্ল্যাট থেকে ঝাঁ চকচকে স্মার্ট হোমস। ব্যবসাপ্রিয় মানুষের জন্য কমার্সিয়াল ও রেসিডেন্সিয়াল জমি। আবার মেঘেদের কাছাকাছি আকাশছোঁয়া উঁচু ফ্ল্যাটবাড়ি। আধুনিক জীবন যাপনের জন্য সমস্ত কিছুর হদিশ দিচ্ছে রেনেসাঁ।
শহরের পট পরিবর্তনের এই প্রেক্ষাপট তৈরির নেপথ্যে শ্রাচীকে সমস্ত রকমভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বর্ধমান ডেভেলপমেন্ট অথারিটি। শ্রাচীর এই প্রকল্প শুধুমাত্র বর্ধমানের জীবনযাত্রার মানই পাল্টে দেয়নি, সেই সঙ্গে বহু মানুষের স্বপ্নকেও বাস্তবের চেহারা দিয়েছে। উন্নয়নের আসল অর্থ কী হতে পারে, তার প্রকৃত উদাহরণ হল এই রেনেসাঁ।
কী কী ধরনের বাসস্থানের ডালি উপহার দিচ্ছে রেনেসাঁ?
- সলিস
এখানে এলে মনে পড়ে যাবে মহিনের গানের সেই লাইন - সব থেকে উঁচু ফ্ল্যাটবাড়িটার, সব থেকে উঁচু ছাদ। রেনেসাঁর হৃদয়েই বর্ধমানের আমজনতাকে সুউচ্চ ইমারত উপহার দিয়েছে শ্রাচী। যার পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে অ্যালুমিনিয়াম ফ্রেমওয়ার্ক টেকনোলজির মাধ্যমে। বর্ধমান শহরে যা প্রথম। রেনেসাঁয় সেই মেঘেদের কাছাকাছি থাকার স্বপ্নের দাম শুরু মাত্র ১৫ লক্ষ টাকা থেকে।
- এলিট হোমস
এলিট অর্থাৎ উচ্চবিত্ত। যদিও শুধুমাত্র উচ্চবিত্তের জন্যই এই ফ্ল্যাটগুলি নয়। এই ফ্ল্যাট সবার জন্যেই। বিলাসপ্রিয় এবং সৌখিন বাঙালির জীবনকে আরও বিলাসবহুল করতে, সুন্দর সজ্জায় সাজিয়ে দিতে রেনেসাঁ নিয়ে এসেছে এলিট হোমস। তিনদিক খোলা অ্যাপার্টমেন্টে জীবন হবে আরও স্বচ্ছল, আরও মনোময়। দাম শুরু মাত্র ৪৫ লক্ষ টাকা থেকে।
- বাংলো
পুরনো সেই দিনের কথা, ভুলতে কী পারা যায়! গল্পের বইয়ের পাতায় থাকা লালসাহেবের কুঠি কিংবা হ্যামিলটনের পাকা রাস্তার দু’ধারে সারি সারি বাংলোর পরত। মনে পড়ে? সেই বাংলোকেই বাঙালির সামনে নতুন ভাবে হাজির করেছে শ্রাচীর রেনেসাঁ টাউনশিপ। গোটা প্রকল্পের মধ্যে সব চেয়ে আলাদা এই বাংলো বাড়িগুলি। প্রকৃতির সবুজ ও নির্মল ছোঁয়া দিনের শেষের ক্লান্তি দূর করে যে কোনও মানুষকে চাঙ্গা করে তুলতে পারে।
রেনেসাঁ টাউনশিপ
মোট তিন ধরনের বাংলো রয়েছে এখানে - টুইন হাউজ (দ্যুতি), ৩ বেডরুমের (অন্তরা) এবং ৪ বেডরুমের (মলহার)। নিজের পছন্দ এবং চাহিদা অনুযায়ী বেছে নিন যে কোনও একটি। শান্ত, স্নিগ্ধ, আরামদায়ক, বিলাসিবহুল এবং উন্নত জীবনযাত্রার মিশেল হল এই বাংলোগুলি।
এক নজরে দেখে নিন জীবনযাপনে কী কী সুবিধা পাচ্ছেন রেনেসাঁ টাউনশিপে –
- হাতের কাছেই বাজার-হাট। রয়েছে 'বৃদ্ধি' শপিং কমপ্লেক্স।
- হাতের কাছেই স্বাস্থ্যকেন্দ্র — বিআইএমএস। উচ্চমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা তো রয়েছেই, সঙ্গে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট। তৈরি হচ্ছে নতুন ক্যানসার কেয়ার ফাউন্ডেশন।
- পড়াশুনার করার জন্য বিশ্বমানের স্কুল — নারায়ণা স্কুল এবং শেমফোর্ড ফিউচারিস্টিক স্কুল
- সান্ধ্য আড্ডা উপভোগের সুযোগ খুঁজছেন? ক্লাব সিনক্লেয়ার্স রয়েছে তো! আর আছে নতুন রেনেসাঁ ক্লাব।
- শুধু বাসস্থানই নয়, সেই সঙ্গে বিনিয়োগের বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে প্রস্তুত রেনেসাঁ টাউনশিপের ভিতরেই তৈরি হওয়া কমার্সিয়াল প্রকল্পগুলি
- সব শেষে দুর্দান্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা। প্রকল্প থেকে দুই পা হাঁটলেই ন্যাশনাল হাইওয়ে। হাতের কাছে বাস স্ট্যান্ড, আরও কত কী!
তা হলে আর দেরি কেন? কলকাতার অনতিদূরে বর্ধমানের রেনেসাঁ টাউনশিপেই হোক জীবনের স্বপ্নপূরণ। আজই বুক করুন নিজের স্বপ্নের ফ্ল্যাট। বিশদে জানতে ক্লিক করুন।
বিগত দুই দশক ধরে শ্রাচী রিয়েলটি শহরকে একের পর এক বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট এবং বাণিজ্যিক পরিকাঠামো উপহার দিয়ে চলেছে। বলা বাহুল্য, শ্রাচীর তৈরি প্রত্যেকটি প্রকল্প শুধু বাংলা নয়, গোটা পূর্ব ভারতে এক একটি ল্যান্ডমার্ক প্রকল্প। এর মধ্যে রয়েছে সিনথেসিস বিজনেস পার্ক, গ্রিনউড সোনাটা, গ্রিনউড পার্ক এক্সটেনশন, ব্লক বাই ব্লক, রোজডেল গার্ডেন কমপ্লেক্স সহ আরও কত কী! যৌথভাবে তৈরি প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে আমাদের প্রিয় সাউথ সিটি, শহরের অন্যতম বড় কমপ্লেক্স আরবানা, এবং গ্লোবসিন ক্রিস্টালস।
এই লম্বা তালিকায় রয়েছে দক্ষিণ বাংলার রিটেইল সেক্টর তথা বাণিজ্যিক পরিকাঠামোর খোলনলচে বদলে দেওয়া জংশন মল। শুধু তাই নয়, বাংলার বাইরে ঝাড়খন্ডেও নিজেদের কর্মকান্ড বহাল রেখেছে শ্রাচী গ্রুপ। বেশ কিছুদিন আগেই প্রতিবেশি দেশ শ্রীলঙ্কাতেও তারা যৌথভাবে একটি প্রকল্পের কাজে হাত দিয়েছে।