টেট-এর ভুল প্রশ্ন সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টে জমা পড়েছে। এ দিন রিপোর্ট জমা পড়ার পরে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর পর্যবেক্ষণ, প্রশ্ন ভুল থাকলে সবাইকে সেই সংক্রান্ত নম্বর দিতে হবে। কী ভাবে নম্বর দেওয়া হবে আগামী সোমবার সেই তথ্য কোর্টে জানাবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য, ভুল প্রশ্নের জন্য নম্বর পেলে অনেক পরীক্ষার্থী টেট পাশ করবেন। সে ক্ষেত্রে তাঁরাও আসন্ন নিয়োগে আবেদন করতে পারবেন। বুধবার থেকেই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে আবেদন গ্রহণ শুরু করেছে পর্ষদ।
২০১৭ এবং ২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরির যোগ্যতা নির্ধারণ পরীক্ষার (টেট) প্রশ্ন ভুল নিয়ে মামলা হয়েছিল। একদল মামলাকারীর আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত এবং বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দু’টি পরীক্ষায় ২৫টি করে মোট ৫০টি প্রশ্ন ভুল বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই প্রশ্ন যাচাই করার জন্য আদালত বিশেষজ্ঞ কমিটি নিয়োগ করেছিল। আর একদল মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, আদালত মুখ বন্ধ রিপোর্ট পর্ষদের আইনজীবীকে দিয়েছে। সেই রিপোর্ট দেখে পর্ষদ কী ভাবে নম্বর দেবেসেটা জানাবে।
উল্লেখ্য, প্রতি বছরই টেট-এ ভুল প্রশ্নের অভিযোগ ওঠে। বিক্রমের কটাক্ষ, “২০১২ সাল থেকে টেট হয়েছে এবং এমনই ব্যবস্থা যে প্রতি বারই ভুল প্রশ্ন হয়েছে।” অনেকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ২০১৬ সালের নিয়োগে ২০১৪ সালের টেট-এ ভুল প্রশ্নের জন্য বরাদ্দ নম্বর দেওয়ার নামেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ, কিছু বাছাই করাপ্রার্থীকে ওই নম্বর দিয়ে টেট পাশ করিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছিল।
আসন্ন নিয়োগে শূন্যপদের সংখ্যা তুলনায় কম বলে চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের অভিযোগ। সে ক্ষেত্রে এ বার ভুল প্রশ্নের জন্য বরাদ্দ নম্বর পেলে আরও অনেকে টেট পাশ করতে পারেন এবং সে ক্ষেত্রে আবেদনকারীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এ দিন প্রাথমিক নিয়োগ নিয়ে আরও একটি মামলা হয়েছে। ২০২৩-২৫ শিক্ষাবর্ষে ডিইএলএড পাঠরত পড়ুয়াদের একাংশ এই মামলা করেছেন। তাঁদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, ২০২২ সালের নিয়োগে চূড়ান্ত বর্ষের পড়ুয়াদের আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আছে। কিন্তু এ বারে সেই সুযোগ দিচ্ছে না পর্ষদ।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)