Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

তাজপুর বন্দরের রিপোর্ট চলতি মাসেই

‘‘খসড়া টেকনো-ইকনমিক ফিজিবিলিটি (প্রাযুক্তিক-আর্থিক সম্ভাব্যতা) রিপোর্ট পেলেই তাজপুর বন্দরের ভবিষ্যৎ স্পষ্ট হয়ে যাবে। উপদেষ্টা সংস্থা এ মাসেই সেটি দেবে বলে জানিয়েছে,’’ বলেন কলকাতা বন্দরের চেয়ারম্যান বিনীত কুমার।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:২৮
Share: Save:

কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে দীর্ঘ টানাপড়েনের পরে তাজপুর বন্দরের নির্মাণকাজ অচিরেই শুরু হবে বলে জানাচ্ছেন কলকাতা বন্দরের কর্তাদের একাংশ। এ মাসের শেষেই ওই নির্মাণ সংক্রান্ত প্রাথমিক সমীক্ষা রিপোর্ট হাতে পাবন কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ। তার পরেই আনুষ্ঠানিক ভাবে বন্দরের সবিস্তার প্রকল্প রিপোর্ট (ডিপিআর) তৈরির কাজ শুরু হবে।

‘‘খসড়া টেকনো-ইকনমিক ফিজিবিলিটি (প্রাযুক্তিক-আর্থিক সম্ভাব্যতা) রিপোর্ট পেলেই তাজপুর বন্দরের ভবিষ্যৎ স্পষ্ট হয়ে যাবে। উপদেষ্টা সংস্থা এ মাসেই সেটি দেবে বলে জানিয়েছে,’’ বলেন কলকাতা বন্দরের চেয়ারম্যান বিনীত কুমার।

বন্দরকর্তারা জানান, তাজপুরের সমুদ্রে জাহাজ নিয়ে সমীক্ষা চালাচ্ছে হোয়াউই কনসালটেন্সি লিমিটেড। তাদের রিপোর্ট পেলেই প্রস্তাবিত বন্দরের নাব্যতা, পণ্য খালাসের ক্ষমতা, খরচ এবং আর্থিক ভাবে লাভজনক হতে নতুন বন্দরের কত দিন সময় লাগবে, তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। তাজপুরে বন্দর গড়ে উঠলে কলকাতা ও হলদিয়া বন্দরের ভবিষ্যৎ নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। তাজপুরের বন্দরটি যদি আর্থিক দিক থেকে আকর্ষক হয়, তা হলে পূর্ব উপকূলের যাবতীয় পণ্য সেখানেই মাঝসমুদ্রে খালাস হতে পারে। নাব্যতার সমস্যায় জর্জরিত কলকাতা ও হলদিয়া বন্দরের ভবিষ্যৎ তখন কী দাঁড়াবে, তাই নিয়ে আশঙ্কায় বন্দরের একাংশ।

তাজপুরে বন্দর নির্মাণের জন্য সমীক্ষা শুরু করেছিল নবান্ন। সেই সমীক্ষায় বলা হয়, ওখানে ১৬ মিটার নাব্যতাসম্পন্ন বন্দর গড়ে তোলা সম্ভব। তাতে লগ্নি হতে পারে ১২ হাজার কোটি টাকা। সমুদ্র থেকে পলি তুলে তা দিয়ে ভরাট করে এই বন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা হয়েছে। ফলে এক ছটাকও জমি অধিগ্রহণ করতে হবে না সরকারকে। শুধু সড়ক ও রেলপথ তৈরি করেই পরিকাঠামোর ঘাটতি মেটানো যাবে বলে রাজ্যের সমীক্ষায় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল।

কিন্তু রাজ্য সরকার নিজেরা তাজপুরে বন্দর গড়ার প্রস্তাব দেওয়ায় বেঁকে বসে কেন্দ্র। জাহাজ মন্ত্রক জানায়, তারাই ওখানে বন্দর গড়বে। রাজ্য তাজপুরে তাদের বন্দর নির্মাণ করতে না দিলে সাগরে প্রস্তাবিত বন্দর প্রকল্প থেকেও বেরিয়ে যাবে কেন্দ্র। তার পরে তাজপুরে প্রস্তাবিত বন্দরের রাশ কেন্দ্রের হাতেই ছেড়ে দেয় রাজ্য। ৭৪ ভাগ অংশীদারি নিয়ে কেন্দ্র নতুন করে তাজপুরের সমীক্ষা শুরু করে। ঠিক হয়, তাজপুরে বন্দর গড়ে তোলার পরে দ্বিতীয় দফায় সাগরেও বন্দর নির্মাণ করবে কেন্দ্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Report Tajpur Port Kolkata Port Trust
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE