পাওয়ার গ্রিড বিরোধী আন্দোলন কিছুটা থিতিয়ে আসার পরে সপ্তাহ তিনেক আগে ভাঙড়ের শ্যামনগরে সভা করেছিলেন তৃণমূল নেতারা। তখন কোনও গোলমাল হয়নি। কিন্তু শুক্রবার বিকেলে গ্রিড সংলগ্ন পদ্মপুকুর গ্রামে দলীয় কর্মীর বাড়িতে বৈঠক করতে গিয়ে ঘেরাও হলেন স্থানীয় দুই তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদ এবং নান্নু হোসেন।
অভিযোগ, বৈঠক চলাকালীন কিছু লোক আব্বাসউদ্দিন মোল্লা নামে ওই তৃণমূল কর্মীর বাড়ি ঘিরে ফেলে বিক্ষোভ শুরু করেন। একই সঙ্গে বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে অবরোধ হয়। আব্বাসউদ্দিনের বাড়ির আসবাবপত্রও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। প্রায় দু’ঘণ্টা ওই বাড়িতে আটকে থাকার পরে অন্য কয়েক জন তৃণমূল নেতা বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে কাইজার-নান্নুকে বের করে আনেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছতে পারেনি। অবরোধ তুলতে পুলিশ বাহিনী ডিবডিবে এলাকায় পৌঁছতেই বিক্ষোভের মুখে পড়ে। শেষমেশ পুলিশ পিছু হটে। পরে বিক্ষোভকারীরাই অবরোধ তুলে নেয়। বিক্ষোভকারীদের তরফে শেখ আজিম বলেন, ‘‘তৃণমূল নেতারা এলাকায় বৈঠক করে মানুষকে বিভ্রান্ত এবং উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি।’’ এই অভিযোগ তৃণমূল নেতারা মানেননি। এ দিনের ঘটনায় মাটি-মাফিয়ারা জড়িত বলে দাবি করেছেন কাইজার। তিনি বলেন, ‘‘মাটি-মাফিয়ারাই আন্দোলনকারীদের নাম ভাঙিয়ে ঘেরাও-বিক্ষোভ শুরু করেছে।’’
তবে, এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ জানিয়েছেন, সপ্তাহ তিনেক আগে শ্যামনগরে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং দলের জেলা সভাপতি শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যে সভা হয়েছিল, সেখানে ভাঙড়-১ ব্লক থেকেই বেশি লোক নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেই সভায় ভাঙড়-২ ব্লকের মানুষ সে ভাবে সামিল হননি। অথচ, এই ব্লকেই পাওয়ার গ্রিড নিয়ে আন্দোলন হয়েছিল। এখানকার অনেকে আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। তাঁদের ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এ দিন।