Advertisement
১৮ মে ২০২৪

খেলনা নয়, রোহিঙ্গা শিশুরা চাইছে মুক্তি

মন্ত্রী জানান, অনেক বাংলাদেশি আবাসিক কয়েক বছর ধরে লিলুয়ার হোমে রয়েছে। কিন্তু তারা বাড়ির ঠিকানা বলতে পারে না। তাই তাদের ফের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের পথে ছেড়ে দেওয়া সম্ভব নয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:৫৪
Share: Save:

চার দিকে সাজানো রঙিন আলো, খেলনা, ফোয়ারা, টিভি, খাবার।

কিন্তু এ-সবে মন নেই ওদের। ওরা চায় মুক্ত জীবন। সেই জন্যই দফতরের ‘দিদি’-কে কাছে পেয়ে ওরা দাবি করল, ‘‘আমাদের কিচ্ছু চাই না। দিদি, আমাদের বাড়ি পাঠিয়ে দাও।’’

মঙ্গলবার শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে লিলুয়া হোমে গিয়ে এ ভাবেই রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি আবাসিকদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যের সমাজকল্যাণ, নারী ও শিশু দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা। হোমের আবাসিকদের নিয়ে নতুন তৈরি উদ্যান ঘুরে দেখার সময়ে তাদের কেন বাড়ি পাঠানো যাচ্ছে না, সেটা বোঝানোর চেষ্টা করলেন মন্ত্রী। পরে তিনি বলেন, ‘‘ওদের কষ্টটা বুঝি। কিন্তু কী করব! সব কিছু তো রাজ্যের একার হাতে নেই। এখানে বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন, আদালত সকলের ভূমিকা রয়েছে।’’

মন্ত্রী জানান, অনেক বাংলাদেশি আবাসিক কয়েক বছর ধরে লিলুয়ার হোমে রয়েছে। কিন্তু তারা বাড়ির ঠিকানা বলতে পারে না। তাই তাদের ফের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের পথে ছেড়ে দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে টাস্ক ফোর্স গঠনের পরে ফেরানোর প্রক্রিয়া অনেক সরল হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন ওদের বাড়ির ঠিকানা নিশ্চিত না-করলে তো ছাড়া যায় না। আর এটাও তো দেখতে হবে, যে-পরিবেশে ওরা ফিরবে, সেটা আদৌ ঠিকঠাক রয়েছে কি না।’’

লিলুয়া হোমে এখন ১১ জন রোহিঙ্গা আবাসিক রয়েছে। মন্ত্রী বলেন, ‘‘রোহিঙ্গা বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ভাবনাচিন্তা চলছে। যত ক্ষণ না সিদ্ধান্ত হচ্ছে, ওদের আমাদের কাছেই থাকতে হবে।’’ শিশু ও মহিলা মিলিয়ে লিলুয়া হোমে রয়েছেন প্রায় ২৫০ জন আবাসিক।

এ দিন তাদের নিয়েই হল শিশু দিবসের অনুষ্ঠান। ছিল বিরিয়ানি, আইসক্রিম, চকলেট। বাচ্চাদের দেওয়া হয় খেলনা। নতুন উদ্যানে লাগানো হয়েছে বিভিন্ন জীবজন্তুর মডেল, রঙিন আলো, দোলনা, স্লিপ। তৈরি হয়েছে মুক্ত মঞ্চ ও ব্যাডমিন্টন কোর্ট। ছিলেন মন্ত্রী অরূপ রায়, মেয়র রথীন চক্রবর্তী, বিধায়ক তথা হোমের পর্যবেক্ষক বৈশালী ডালমিয়া, মেয়র-পারিষদ বিভাস হাজরা ও স্থানীয় কাউন্সিলর কৈলাস মিশ্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Rohingya Myanmar রোহিঙ্গা
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE