Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

‘পচা খাবার’ দুরন্ত এক্সপ্রেসে, বিক্ষোভ হাওড়ায়

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২২৪৬ যশবন্তপুর-হাওড়া দুরন্ত এক্সপ্রেস রবিবার সকাল ১১টায় যশবন্তপুর থেকে ছাড়ার পরে মধ্যাহ্নভোজ দেওয়া শুরু হয় বেলা দেড়টা নাগাদ।

ক্ষুব্ধ: পচা খাবার দেখিয়ে বিক্ষোভ যাত্রীদের। সোমবার, হাওড়া স্টেশনে। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার

ক্ষুব্ধ: পচা খাবার দেখিয়ে বিক্ষোভ যাত্রীদের। সোমবার, হাওড়া স্টেশনে। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৮ ০২:১৩
Share: Save:

এ বার দুর্গন্ধযুক্ত খাবার পরিবেশনের অভিযোগ উঠল যশবন্তপুর-হাওড়া দুরন্ত এক্সপ্রেসের একটি কামরায়।

সোমবার বিকেলে ট্রেনটি হাওড়া স্টেশনে পৌঁছনোর পরে যাত্রীরা এ নিয়ে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন। যাত্রীদের অভিযোগ, রবিবার ট্রেনটি ছাড়ার পরে মধ্যাহ্নভোজ থেকে শুরু করে এ দিন সকাল পর্যন্ত অত্যন্ত নিম্নমানের, পচা গন্ধযুক্ত খাবার পরিবেশন করা হয়েছে। আরও অভিযোগ, ট্রেনে জল ছিল না। শৌচাগার ছিল অপরিষ্কার ও দুর্গন্ধময়।

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২২৪৬ যশবন্তপুর-হাওড়া দুরন্ত এক্সপ্রেস রবিবার সকাল ১১টায় যশবন্তপুর থেকে ছাড়ার পরে মধ্যাহ্নভোজ দেওয়া শুরু হয় বেলা দেড়টা নাগাদ। এস-১ কামরার যাত্রীদের অভিযোগ, তাঁদের কামরায় খাবার পরিবেশনের পরে দেখা যায় ভাত, ডাল, মাংস সবই পচা। রুটি এত শক্ত যে কার্যত ছেঁড়া যাচ্ছিল না। খাবার যাত্রীদের অভিযোগ, খাবার মুখে দিয়েই অনেকে বমি করে ফেলেন। প্রায় কেউই খেতে পারেননি। যাঁরা খিদের চোটে সামান্য মুখে দিয়েছিলেন কিছুক্ষণ পরে তাঁদের পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়।

দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ আইআরসিটিসি-র সুপারভাইজার এস-১ কামরায় এসে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। যাত্রীরা তাঁকে পচা খাবার নিয়ে অভিযোগও করেন। তিনি জানান, বিষয়টি তিনি কর্তৃপক্ষকে জানাবেন এবং খাবার নিয়ে আর যাতে গোলমাল না হয় তা দেখবেন। কিন্তু অভিযোগ, কার্যক্ষেত্রে তা হয়নি। সোমবারও দুপুরে যে খাবার দেওয়া হয়েছিল তা বাসি ও পচা ছিল বলে জানিয়েছেন ক্ষুব্ধ যাত্রীরা।

সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ হাওড়া স্টেশনের ২২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্রেনটি ঢোকার পরে এস-১ কামরার যাত্রীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। খবর পেয়ে রেলরক্ষী বাহিনীর জওয়ানেরা পৌঁছন। আশিস বিশ্বাস নামে এক যাত্রী বলেন, ‘‘খাবারের জন্য রেল মোটা টাকা কেটে নেয়। তার পরে এই খাবার দেয় কী করে। এত জন যাত্রী যে না খেয়ে দু’দিন কাটালেন তার ক্ষতিপূরণ কে দেবে?’’ রবি কুমার নামে এক যাত্রীর ক্ষোভ, ‘‘দুরন্তের মতো ট্রেনে খাবার যে এত নিম্নমানের হতে পারে ভাবতে পারিনি। রেলের উচিৎ খাবারের টাকা ফেরৎ দেওয়া।’’

বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা জানান, ঘটনাটি আইআরসিটিসি কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। যদিও আইআরটিসি-র গ্রুপ জেনারেল ম্যানেজার দেবাশিস চন্দ্র বলেন, ‘‘আমাদের কাছে যাত্রীরা সরাসরি কোনও অভিযোগ করেননি। তবে অভিযোগ যখন উঠেছে তদন্ত হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Rotten food Duronto Express Passengers
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE