Advertisement
০৫ মে ২০২৪
RSS

সরকারি স্কুলের মাঠেই আরএসএস শাখার প্রশিক্ষণ! শিক্ষামন্ত্রীকে অভিযোগ জানাল শিক্ষক সংগঠন

প্রতিবাদপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর জেলা কুলতলিতে প্রাথমিক শিক্ষাবর্গের অন্তর্গত জালাবেড়িয়া হিন্দু বিদ্যালয় প্রাঙ্গণেই আরএসএসের শিবির চালানো হচ্ছে।

কুলতলীতে সরকারি বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে আরএসএসের শাখা করা নিয়ে অভিযোগ শিক্ষামন্ত্রীর কাছে।

কুলতলীতে সরকারি বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে আরএসএসের শাখা করা নিয়ে অভিযোগ শিক্ষামন্ত্রীর কাছে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২২ ২০:৪০
Share: Save:

সরকারি স্কুলের মাঠেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) শাখা চালানোর কথা উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে অভিযোগ জানাল শিক্ষক সংগঠন। বুধবার বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মচারী সমিতির তরফে এই মর্মে একটি প্রতিবাদপত্র পাঠানো হয়েছে। সেই প্রতিবাদপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, বারুইপুর জেলার কুলতলিতে প্রাথমিক শিক্ষাবর্গের অন্তর্গত জালাবেড়িয়া হিন্দু বিদ্যালয় প্রাঙ্গণেই আরএসএসের শিবির চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি, রাজ্যের অন্যান্য বিদ্যালয়গুলির মাঠেও এই ধরনের শিবির চালানো হচ্ছে।

এমন শিবির বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে চলতে থাকলে রাজ্যে আইন শৃঙ্খলার সমস্যা হতে পারে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই অভিযোগপত্রে। সেখানে আরও লেখা হয়েছে, যে কোনও সংগঠন স্কুল শিক্ষা কমিশনারের অনুমতির ভিত্তিতে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ব্যবহার করতেই পারে। কিন্তু এই শিবিরগুলি চালানোর ক্ষেত্রে কী আদৌ সেই ধরনের কোনও অনুমতি নেওয়া হয়েছিল?

যাবতীয় অভিযোগের কথা উল্লেখ করে এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছে ওই সংগঠন। এ বিষয়ে আনন্দবাজার অনলাইন থেকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর প্রতিক্রিয়া জানতে হোয়াটস অ্যাপে বার্তা পাঠানো হলেও জবাব মেলেনি। অভিযোগকারী সংগঠনের নেতা স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা চাই না স্কুলে এমন কোনও কার্যকলাপ হোক যা রাজ্যের আইন শৃঙ্খলাজনিত সমস্যার পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। তাই আমাদের সংগঠনের তরফে এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE