বৃত্তিশিক্ষা পর্ষদটাই তুলে দেওয়া হল। তাই তার সভাপতির পদটি হারালেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। বুধবার রাজ্য সরকার একটি নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা ও বৃত্তিশিক্ষার দু’টি পৃথক পর্ষদ মিলিয়ে একটি নতুন পর্ষদ গড়া হচ্ছে। সেই যৌথ পর্ষদের সভাপতির নাম এখনও জানানো হয়নি। তবে বৃত্তিশিক্ষা পর্ষদ উঠে যাওয়ায় রুদ্রনীলের পদ আর থাকল না।
সরকারি সূত্রের খবর, শুধু যে রুদ্রনীলের পদ গেল, তা নয়। এ দিনের নির্দেশিকার জেরে কারিগরি শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির পদটিও অবলুপ্ত হয়েছে।
এত দিন ওই পদে ছিলেন কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। তবে ওই দফতরের একটি সূত্রে জানানো হয়েছে, দু’টি পর্ষদ মিলিয়ে যে-নতুন পর্ষদ গড়া হবে, তার দেখভাল করবেন উজ্জ্বলবাবুই।
২০১৪ সালের জানুয়ারিতে বৃত্তিশিক্ষা পর্ষদের প্রধান পদে রুদ্রনীলকে নিয়োগ করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রুদ্রনীল ওই পদে যোগ দেওয়ার পর থেকেই দফতরের মন্ত্রী উজ্জ্বলবাবুর সঙ্গে তাঁর ঠান্ডা লড়াই চলছিল। দু’জনেই একাধিক বার পরস্পরের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। তার জেরেই রুদ্রনীলকে পদ হারাতে হল কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে দফতরের অন্দরে। যদিও রুদ্রনীল এ দিন জানান, দু’টি পর্ষদকে যে মেলানো হবে, সেটা বছর দুয়েক আগেই স্থির হয়ে গিয়েছিল। এত দিনে সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হল।
পদ হারানোর বিষয়ে কী বলছেন?
রুদ্রনীল বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। আমি বৃত্তিশিক্ষার পাঠ্যক্রম তৈরি এবং পরীক্ষার কাজ দায়িত্ব নিয়ে করেছি। সুযোগ পেলে আরও কাজ করতে পারতাম।’’ একই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, কারিগরি শিক্ষা
পর্ষদের সভাপতির পদটিও কিন্তু অবলুপ্ত হয়েছে!
বৃত্তিশিক্ষা পর্ষদ অবলুপ্ত হয়ে যাওয়ায় একটি আশঙ্কার কথাও বলেছেন পর্ষদের কর্তারা। তাঁরা জানান, ২৬ জুলাই অষ্টম শ্রেণির বৃত্তিশিক্ষার পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। ঠিক এই সময়েই পর্ষদ অবলুপ্ত হয়ে যাওয়ায় সেই পরীক্ষার দায়ভার নেওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। রুদ্রনীল বলছেন, ‘‘পদ চলে গেলেও নতুন পর্ষদের কর্তারা যদি আমার কোনও সাহায্য চান, আমি সর্বতোভাবে তা করতে রাজি।’’
কী বলছেন কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী?
উজ্জ্বলবাবুর সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা হয়েছিল কিন্তু তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। রাত পর্যন্ত তাঁর প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy