Advertisement
E-Paper

সর্বশিক্ষায় বেতন বাড়ল সব কর্মীরই

এর মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ এবং কোন জেলায় কত শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন, তা বিশ্লেষণ করার পরেই ইন্টার্ন নিয়োগের কাজ শুরু হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:২১
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

‘শিক্ষাবন্ধু’ আছেন। সেই সঙ্গে ‘ম্যানেজমেন্ট স্টাফ’-ও আছেন সর্বশিক্ষা অভিযানে। রাজ্য সরকারের নিয়োগপত্র পাওয়া ওই দুই শ্রেণির সব কর্মীরই বেতন বাড়ানো হয়েছে বলে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সোমবার জানান। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী স্কুলে ইন্টার্নশিপ চালু হচ্ছেই। স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ এবং কোন জেলায় কত শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন, তা বিশ্লেষণ করার পরেই ইন্টার্ন নিয়োগের কাজ শুরু হবে।

কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যগুলি নিজেদের মতো করে পাশ-ফেল প্রথা ফের চালু করতে পারবে। তবে শিক্ষামন্ত্রীর এ দিনের বক্তব্যে স্পষ্ট, পশ্চিমবঙ্গে অন্তত চলতি বছরে পাশ-ফেল প্রথা ফিরছে না। পার্থবাবু জানান, এ রাজ্যে পাশ-ফেল প্রথা ফিরিয়ে আনা এবং পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিক স্তরে যোগ করা— দু’টি কাজই হবে ২০২০ সালে।

এ রাজ্যে সর্বশিক্ষা অভিযানে রাজ্য সরকারের নিয়োগপত্র পাওয়া কর্মীর সংখ্যা ছ’হাজারেরও বেশি। তাঁদের মধ্যে ‘শিক্ষাবন্ধুদের’ বেতন ৫৯৯৪ থেকে বাড়িয়ে ৮৩৯২ টাকা করা হয়েছে বলে শিক্ষামন্ত্রী জানান। ম্যানেজমেন্ট স্টাফদের বেতন সর্বাধিক ৪০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।

স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের জন্য আছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী স্কুলে ইন্টার্ন নিয়োগের ঘোষণা করায় শিক্ষা শিবিরে বিতর্ক শুরু হয়। এই ব্যবস্থায় এসএসসি-র ভূমিকা অবান্তর হয়ে পড়বে বলে অভিযোগ উঠছে শিক্ষা মহলে। কিন্তু রাজ্য সরকার যে ইন্টার্ন নিয়োগ করছেই এবং এসএসসি-ও বহাল থাকছে, এ দিন শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যে সেটা স্পষ্ট। পার্থবাবু জানান, ইন্টার্ন শিক্ষক নিয়োগের আগে কোথায় শিক্ষক বা শিক্ষিকা কম রয়েছে, তা দেখতে হবে। এসএসসি-র শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া চলবে। সংশ্লিষ্ট সব বিষয় দেখেই কত ইন্টার্ন নিয়োগ করা যায়, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

শিক্ষক-ঘাটতির সমস্যা মেটাতে প্রাথমিক স্তরের সঙ্গে পঞ্চম শ্রেণিকে যোগ করার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিনই এই বিষয়ে বৈঠক হয়েছে। ২০২০ সাল থেকে বিষয়টি কার্যকর হবে বলে জানান পার্থবাবু। উপাচার্যদের অবসরের বয়স ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৭০ বছর করার কথা কিছু দিন আগেই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উপাচার্যের শারীরিক সক্ষমতা বিচার্য হবে বলে জানান পার্থবাবু।

প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষণ (ডিএলএড)-এর পশ্চিমবঙ্গ অংশের পরীক্ষা বাতিল নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী এ দিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এই পরীক্ষা বাতিল করে ৩ ফেব্রুয়ারি দু’টি পত্রের পরীক্ষা একসঙ্গে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, একই প্রশ্নে সর্বত্র পরীক্ষা নেওয়া হলেও অন্য রাজ্যে তা বাতিল করা হয়নি।

Sarva Shiksha Abhiyan Employee Salary
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy